বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে কুরআন হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বড় বড় বাণী ছাড়েন তিনি। একজন সুবক্তা হিসেবে পরিচিতিও রয়েছে তার। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি ভালো ওয়াজ করতে পারেন। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় তার কদরও রয়েছে। কিন্তু নিজের বেলায় এসকলের কিছুই নেই তার মাঝে। তিনি নিজের স্ত্রীরই অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন না।
এমনই অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে সুগন্ধা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মানসুর আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি নিজের স্ত্রীকেই নির্যাতন করেন যৌতুকের দাবীতে। নিজের স্ত্রীকে রেখে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন পর নারীতে। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে রেখে অন্য নারীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কয়েকমাস পর বিয়ে করে বাড়িতে ফেরেন।
এদিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী জামিলা বেগম। বর্তমানে তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তার স্ত্রী জামিলা বেগম মারধর ও যৌতুক দাবীর অভিযোগ তুলেছেন। সেই সাথে স্ত্রীকে রেখে পরকীয়া প্রেমেরও অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী জামিলা বেগম।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন স্ত্রী জামিলা বেগম। এই মামলায় মাওলানা মানসুর আহমেদ আদালতে হাজির হলে বিচারক নাজমুল হক শ্যামল তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
স্ত্রী জামিলা বেগম বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটা ছেলে একটা মেয়ে রয়েছে। কোরবানীর ঈদের পরে আমাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পরে আমাকে আনতে যায় না। দুইমাস পর এসে আমি দেখি উনি একটা মহিলাকে নিয়ে আমার বাসায় উঠিয়েছে। আমি যখন বিষয়টি জানি তখন সে পালিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি ও আমার সন্তানদের খাবার খরচ দেয় না। আমি এই ঘটনায় আমি বিচার চাই। তিনি একজন মসজিদের ইমাম। আর ইমাম সাহেব হয়ে এসকল ভন্ডামী করে তাহলে মানুষ তার কাছ থেকে কি শিখবে। আমরা তার কাছ থেকে কি শিখবো।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়েরকৃত যৌতুক মামলায় গ্রেফতার করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :