জ্ঞানের আলো ছড়াতে আবারও আসছেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। অগণিত ভক্ত ওইদিন পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যার ও জ্ঞানের অধিষ্ঠার্তী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রনাম জানাবেন তাঁরা।
‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোহস্তুতে’ এ মন্ত্র উচ্ছারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য দেবী সরস্বতীর অর্চনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে সরেজমিনের ঘুরে দেখা গেছে পূজাকে ঘিরে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করে নিয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
এদিকে এখন থেকে সরস্বতী প্রতিমার জন্য বায়না করতে শিক্ষার্থীরা মন্দিরে ভিড় করছেন। প্রতিমা কারিগরদের নিজের পছন্দ অনুসারে রং ও ডিজাইন বলে দিয়ে যাচ্ছেন।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে এ দেবীর পূজার আয়োজন করা হয়। তিথিটি শ্রী পঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। শ্রী পঞ্চমীর দিন ভোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের ঘরে ও সার্বজনীন পূজা মন্ডপে দেবীর পূজা হবে। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারের এ দিন শিশুদের হাতে খড়ি দেয়া হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে শ্রী পঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা হয়। এ পূজায় আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, যবের শিষ, বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলসহ কয়েকটি বিশেষ সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, ছাত্রছাত্রীরা পূজার আগে উপবাস করেন। পূজার দিন কিছু লেখাও নিষিদ্ধ আছে। যথাবিহিত পূজার পর লক্ষ্মী-নারায়ণ, লেখনী-মস্যাধার (দোয়াত-কলম), পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করা প্রচলিত আছে। পূজার সময় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আপনার মতামত লিখুন :