নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার মহানগর বিএনপির কমিটির পর আলোচনায় খন্দকার পরিবার। ৪১ সদস্যের কমিটিতে রাখা হয়নি খন্দকারের কাউকে। তৈমূরকে নির্বাচনের পরেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কমিটিতে স্থান পায়নি ৭১ মামলার আসামী ছোট ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোন্দকার খোরশেদ। ভাগ্নে ছাত্রদল থেকে যুবদল করা রাশিদুর রহমান রশোরও স্থান মিলেনি। এছাড়াও আরেক ভাগ্নে নাজমুল কবির নাহিদ সহ পরিবারের লোকজনেরও ঠাঁই মিলেনি। অথচ একের পর এক মামলায় জর্জরিত পুরো পরিবার।
তৈমূর আলম খন্দকার
১৯৫৩ সালের ১৯ অক্টোবর শাহআলম খন্দকার ও রোকেয়া খন্দকারের পরিবারে জন্ম নেন তৈমুর। ইতোমধ্যে বাবা ও মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ভাই বোনদের মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকার সবার বড় ছেলে। তৈমূরের বাবা শাহআলম খন্দকার ছিলেন বিলুপ্ত গ্রীন্ডলেজ ব্যাংক এর বাংলাদেশ ও নারায়ণগঞ্জ শাখার ম্যানেজার। ইস্ট পাকিস্তান গ্রীন্ডলেজ ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। শাহআলমের বাবা তোরাব আলী খন্দকার ছিলেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির একজন। নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ফাস্ট ক্লাস পান তৈমুর। ৬৯ সালে তোলারাম কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হয়। এ কলেজে পড়াশোনা কালে সংগঠক হিসেবে নিজেকে জাহির করেন। মাসদাইরে প্রভাতী কল্যাণ সংস্থা, মুসলিম একাডেমী করার পাশাপাশি দিনমজুরদের বিভিন্ন সংগঠনও শুরু করেন। ঠেলাগাড়ি, ভ্যান গাড়ি, রিকশা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ শুরু করেন তৈমূর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ৭৪ সালে ডিগ্রী পরীক্ষায় সেকেন্ড ক্লাস পায়। পরে তৈমুর ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জ ল কলেজে। এ কলেজ থেকে ৭৬ সালে ল পাশ করে ৭৮ সালে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮২ সালে ঢাকার মগবাজার এলাকার হালিমা ফারজানার সঙ্গে বিয়ে হয় তৈমূর আলম খন্দকারের। ৮৪ সালে তৈমূর চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে ব্যারিস্টার পড়াশোনা করে ৩পার্টের মধ্যে পার্ট ১ ও ২ শেষ করেন। ৮৫ সালে দাদা তোরাব আলী মাস্টার মারা গেলে তৈমূর দেশে ফিরে আসলে আর বিলেতে যাওয়া হয়নি। তৈমূর আলম খন্দকারের ২ মেয়ে। বড় মেয়ে ব্যারিস্টার মার ই য়াম খন্দকার বিবাহিত। তিনি এখন বাবা তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গেই কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে তৈমূর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা পোষন করলেও শামীম ওসমানের কারনে তা হয়ে ওঠেনি। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। ওই সময়ে শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হল মিলনায়তনের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন করে আওয়ামী লীগ যার তীব্র বিরোধীতা করেন তৈমূর। একই সময়ে সাবেক এমপি আবুল কালাম নিস্ক্রিয় হলে তৈমূরকে সে সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ দেওয়া হয়। শহরের শায়েস্তা খান সড়কে তৈমুরের চেম্বার থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় থেকে হাইকোর্টে আইন পেশা চালিয়ে যান তিনি। ওই সময়ে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাইকোট থেকে গ্রেপ্তার হয়ে রাজনীতিতে আলোচনায় ওঠে আসেন। ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি মিছিলে গুলি করে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। ওই মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। ঢাকায় অবস্থান করা কালীন ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা ঘটনায় তৈমূর আলমকে আসামী করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামাত জোট সরকার তৈমূর আলম খন্দকারকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বানায়। এর আগে তিনি ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০৩ সালে তৈমূরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৭ সালে ওয়ান এলেভেনের পর বিএনপির বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলে প্রথমবারের মত তার আইনজীবি হিসেবে আইনী লড়াই চালিয়েযান তৈমুর। পরে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা করে যার মধ্যে একটি মামলায় ১২ বছরের জেল হয়। ২০০৯ সালের মে মাসে মুক্তি পান তৈমুর। ওই বছরের জুন মাসে তৈমুরকে আহবায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। বছরের শেষের দিকে ২৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে তৈমুর হন জেলা বিএনপির সভাপতি। একই সঙ্গে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ১৮দলীয় ঐক্য জোটের আহবায়ক করা হয়। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। বিএনপি প্রথম দিকে তাকে সমর্থন দিলেও ভোটের মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসেন।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর তৈমূর আলম খন্দকারের রূপসীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মাহামুদুর রহমান মান্না সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। হামলাকারীরা রামদা, চাপাতি ও লাঠিশোঠা নিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তৈমুরের মেয়ে মার-ই-য়াম। তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে তাদের বাড়ির দিতে আসতে থাকে। তারা বিনা উষ্কানিতে হামলা করে।’
গত ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি সহজভাবে নিতে পারেনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর দাপুটে জয়ে পরাভূত হয়েছেন স্বতস্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৯২ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে নৌকা পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। আর হাতি প্রতীকে তৈমূর পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অংশ নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও এটিএম কামাল। দলের সকল পদ থেকে দুইজনকে বহিস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারকে এর আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ১৬ জানুয়ারী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরুতে তৈমূরের সঙ্গ দিলেও এটিএম কামালকে ভোটের দুইদিন পর বহিস্কার করা হলো। ১৮ জানুয়ারী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।
নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরপরেই জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। সবশেষ গত ৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকেও প্রত্যাহার করা হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। সেদিন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে তৈমূর আলম খন্দকারকে জানানো হয়, ‘মাননীয় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য পদ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চার বারের নির্বাচত কাউন্সিলর। ২০০৩ সালে শুরু পৌরসভার নির্বাচন দিয়ে। এর পর আর তাকে পেছনে ফিরতে হয়নি। পরের ২০১১, ২০১৬ ও সবশেষ ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারী নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে খোরশেদ এখন সারাদেশে একটি আলোচিত নামে পরিণত। করোনার ভয়াবহতা বাড়তে শুরু করলে দাফন, সৎকার থেকে শুরু করে সবকিছুতেই এগিয়ে ছিলেন খোরশেদ। তখন থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থাকেন। প্রচারণা করেন ব্যক্তি খোরশেদের। আর অল্পদিনেই বনে যান ‘করোনা হিরো’ আর ‘করোনা বীর’ সহ নানা উপাধিতে।
করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গে মৃত ব্যক্তিদের লাশ পড়েছিল বাড়ির আঙিনায়, সিঁড়িতে। সংক্রমণের ভয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কেউ লাশ দাফনে এগিয়ে আসেনি। ওই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। মাকসুদুল ও তাঁর দল টিম খোরশেদ একে একে দেড় শতাধিক জনের লাশ দাফন করেন। মৃতদেহ সৎকারে মুখাগ্নি করেছেন কয়েকজনের। করোনার শুরু থেকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরী ও বিতরণসহ নানা উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে ছিলেন আলোচিত এই কাউন্সিলর।
খোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৪৯টি। বিগত দিনে হরতাল অবরোধ চলাকালে সামনের সারিতে থাকা এ যুবদল নেতাকে এখন পর্যন্ত কারাবন্দী হতে হয়েছে ১০ বারের মত। এছাড়া জেল গেট থেকেও গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকবার। মহানগর যুবদলের সেক্রেটারী থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে খোদ প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিরাও তাঁর সক্রিয়তাকে স্বীকার করেছেন।
বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধের ৭টি মামলায় প্রায় তিনমাস কারাগারে থেকে জামিনে বের হয়ে ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ৭১ মামলার আসামি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি গত মহানগর যুবদলের কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। জামিনে বের হয়ে সবশেষ ১১ সেপ্টেম্বর ৩টি হরতাল ও নাশকতার মামলায় আদালতে হাজিরা দেন খোরশেদ। এর মধ্যে একটি নাশকতার মামলায় আদালতে দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বিএনপির ডাকা হরতাল, অবরোধের সময় বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৭টি মামলায় প্রায় ৩ মাস কারাভোগ করেন তিনি। গত ১৫ জুন থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারে থেকে এসব মামলায় জামিন নিয়ে মুক্ত হন খোরশেদ। তার বিরুদ্ধে শিডিউল ও নন শিডিউল মিলিয়ে প্রায় ৭১ টি মামলা সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর ও ফতুল্লা থানায় রয়েছে। এসব মামলা বহুবার কারাগারে গিয়েছেন তিনি। সকল মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
তবে এতকিছুর পরও মহানগর বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিতে নাম আসেনি তার। বাদ পড়েছেন তিনি। তবুও তিনি হতাশ নন দলের জন্য ও জিয়া পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন দলের সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমান তার কাজের মূল্যায়ন করবেন।
দুই ভাগ্নে
তৈমূরের ভাগ্ন রাশিদুর রহমান রশো এক সময়ে ছাত্রদলের ডাকসাইটে নেতা ছিলেন। ৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক ও পরে সভাপতি হন। ওই সময়ে নারায়ণগঞ্জ থানা ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, পরে তিনি মহানগরের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা চলমান রয়েছে। কারাভোগ করেছেন ৯ বার। ২০১৪ সালের গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ৮ মাস কারাবন্দী ছিলেন রশু। এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় টানা চারবার জেলগেট থেকে গ্রেফতার এবং অনেকবার রিমান্ডে গিয়েছেন।
পরিবারের অন্যরা
খোরশেদের শ্বশুর আলেয় আলম খন্দকার একই সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকারের চাচাতো ভাই। তাঁর বাড়িতে মূলত বিএনপির তারাব কমিটি গঠন হয়েছিল। মতিন চৌধুরীর অনুগামীদের মধ্যে তিনি ছিলেন বেশ বিশ্বস্ত। সে কারণে তাকে বিলুপ্ত তারাব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি করা হয়।
চাচী শাহীনা আক্তার রেহেনা ছিলেন তারাবো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মতিন চৌধুরীর আমলে তিনি রূপগঞ্জ থানা মহিলা দলের সেক্রেটারী ছিলেন। মাতুয়াইল ইউনিয়নের টানা ২৫ বছরের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর বাবা আবদুল্লাহ মোল্লা। এ আবদুল্লাহ মোল্লা ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচরদের একজন। জাগো দল হতেই তিনি ছিলেন জিয়ার সঙ্গে।
তাফসির আলম খন্দকার ছিলেন তারাব পৌর বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। পরে ২০০১ হতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। মোহসীন ভূইয়া ছিলেন তারাব পৌর মৎসজীবী দলের নেতা। এছাড়া জয়নাল আবেদীন হলেন জেলা কৃষক দলের সেক্রেটারী।
আপনার মতামত লিখুন :