News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

মাঠে নেই জেলা বিএনপি


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম মাঠে নেই জেলা বিএনপি

নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে সরব রয়েছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ বাদে প্রত্যেকটি কর্মসূচিই শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে দলটি। তবে সর্বশেষ মহাসমাবেশেই ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের এক সদস্যকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এইসব ঘটনায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা দায়ের হয়। পাশাপাশি এই সমাবেশের পর হরতাল, অবরোধ কর্মসূচির মতো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেয় দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে গত ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত এবং ৫ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে প্রথম দিকে জেলা বিএনপির সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও শেষের অবরোধ কর্মসূচিতে রাজপথে দেখা যায়নি জেলা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেই। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিপরীতে অন্যান্য কর্মসূচির মতো এদিনও রাজপথে সরব ছিল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। এদিকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশের মামলা, গ্রেফতারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তারা। একদিকে প্রতিদিন রাতভর বাসায় বাসায় অভিযান আরেকদিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের সরব উপস্থিতির কারণে কর্মসূচি পালন করতে জেলা বিএনপিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপির প্রচুরসংখ্যক নেতা বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন। তাই অবরোধ কর্মসূচির মতো আগামী কর্মসূচি পালন করতে জেলা বিএনপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী অবরোধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিন তারা শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করেই রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু এরপর একের পর এক মামলা, গ্রেফতারে ব্যাকফুটে পড়ে যায় দলটি। এর ফলে কেন্দ্র থেকে অবরোধের ডাক দিলেও ঘর থেকে বের হয়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলার ৭টি থানায় নাশকতার অভিযোগে ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮৮ জনকে। এর ফলে মামলা গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া রয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করছে। অধিকাংশ নেতাকর্মী নিজেদের মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন।

এর আগে, ৫ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাইনবোর্ডে সাংবাদিকদের নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সুরক্ষিত রাখা। এ মহাসড়ক সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছি। আপনারা সকাল থেকে দেখছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৩৫টি জায়গায় আমরা কাজ করছি। এছাড়াও দিন রাত মিলিয়ে আমাদের ৮৪টি মোবাইল টিম কাজ করছে। আমাদের অফিসাররা এটা তদারকি করছে। আমাদের গোয়েন্দা ও ডিবিও কাজ করছে। তিনি বলেন, আপনারা যে খবর পাচ্ছেন সেটার সাথে আমাদের খবর মিলছে না। অনেক সময় একসাথে পাঁচ ছয়জন একসাথে হৈ-হুল্লোড় করে চলে যায়। আমরা গিয়ে পাই না। আমাদের যেসকল মূল সড়ক আছে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ছবি তো ঘরের উঠানেও তুলতে পারে, গলিতেও পারে। তবে যেখানে সাধারণ জনগণ চলাচল করে পণ্য পরিবহন হয় সে সড়কগুলো আমরা নিরাপদ রেখেছি।

এর আগে, গত ১২ জুলাই থেকে বিএনপি যুগপৎভাবে বিভিন্ন দল ও জোটকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরপর থেকে তিন মাসে তারা টানা ঢাকাসহ সারাদেশে রোড মার্চ, পদযাত্রা, গণমিছিল, কালোপতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি করে। এরপর গত ২৮ জুলাই তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করে। পরদিন ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনসহ ৯টি স্থানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু বিএনপির সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেয়।

Islams Group
Islam's Group