ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সিন্ডিকেট ভাঙ্গা, দুর্নীতি-লুটপাট-টাকা পাচার, দমন-পীড়ন-গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টি নেতা বিমল কান্তি দাস, বাসদ নেতা সেলিম মাহমুদ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে জনগণের জীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত। মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন থেকে মুক্তি চায়। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ২০১৮ সালে গভীর রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের বিরুদ্ধে অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে বর্তমান আওয়ামী সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকা, ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার নিত্যপণ্যেও দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন পণ্যে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম আদায় করা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয় নাই। লুটপাট-দুর্নীতি-ব্যাংক লুট-টাকা পাচার ইত্যাদির সুযোগ করে দিয়ে তাদের সমর্থনে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। সরকারের শেষ সময়ে এসে তার ফ্যাসিবাদী চেহারা সম্পূর্ণ উন্মোচিত। সরকারের একগুয়েমীর কারণে দেশে একটি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দমন-পীড়ন-নির্যাতনসহ চলছে গণগ্রেফতার। নেতাদের বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা। অতীতের স্বৈরাচারী সরকারদের মতোই এ সরকার দমন-নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। সরকার গণদাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করলে তাকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :