হরতালে বিএনপির নাশকতার ঘটনায় সদর থানায় ৪৬ জন নামীয় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলার ২১ নম্বর আসামী করা হয়েছে খানপুর ব্রাঞ্চ রোড এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে আসাদুজ্জামানকে (৫০)। আনা হয়েছে হরতালের দিন সহিংসতা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আসাদুজ্জামান কোনদিনও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের পদ পদবী ধারন না করলেও আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থক। সবশেষ নাসিক নির্বাচনে মেয়র আইভীর পোলিং এজেন্ট ও নাসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগের কর্মীকে বিএনপির মামলায় জড়িয়ে দেয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
গত ৩০ অক্টোবর সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৪ টি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। তবে বিএনপির মামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকের নাম দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও বিগত জেলা কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান ভাষানী বলেন, ‘আসাদুজ্জামান অত্যন্ত ভালো ছেলে। সে খানপুরের পোলস্টার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী। সামাজিক ব্যাক্তি। সে কখনই বিএনপি করেনা এবং নাশকতায় জড়ানোর প্রশ্নই উঠে না। মেয়র আইভী তাকে ভালো মতো চিনে। নাসিক নির্বাচনে সে মেয়রের পোলিং এজেন্ট ছিলো এবং নৌকার পক্ষে কাজ করেছে। আমার ওয়ার্ডের পঞ্চায়েত সদস্য আমি, আমার থেকে কেঁউ ভালো জানবে না কে আওয়ামী লীগ আর কে বিএনপি। আমি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে নিশ্চয়তা দিতে পারি সে বিএনপির সাথে যুক্ত নয়।’
শত্রুতামূলক ভাবে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন মহানগর যুবলীগের শীর্ষ এক নেতা। তিনি নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘আসাদ কখনই বিএনপি করেনি। সে পোলস্টার ক্লাবের নেতৃত্বে আছে। এই ক্লাব নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রতিযোগীতা রয়েছে। তাকে বেকায়দায় ফেলতে তার প্রতিপক্ষরা এই নাম দিয়ে থাকতে পারে। সে সর্বদাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলো।’
একই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির একজন সম্পাদক বলেন, ‘আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগের কর্মী। সে সামাজিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রাজনীতির বিষয়গুলো সে মাথাতেই রাখে না। গত সিটি নির্বাচনে সে মেয়রের পক্ষে কাজ করেছে। আমার ধারনা কাউন্সিলর পদে সমর্থন দেয়া হয়ে স্থানীয় কারও সাথে বিরোধ হয়েছে। সেখান থেকেই তাকে ফাসিয়ে দিতে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
এদিকে মামলার পর থেকে আসাদুজ্জামানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বলেন, ‘আচ্ছা বিষয়টি জানলাম আপনার কাছ থেকে। এই বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :