গত বছর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে শীর্ষ পদ না পেয়ে বিদ্রোহ করেন সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুসহ তাদের অনুসারীরা। মূলত সেই কমিটিতে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে আহবায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করায় অসন্তুষ্ট হন তারা। তখন এর জন্য বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামকে নিয়ে সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজপথে বিশাল শোডাউন করে নিজেদের শক্তিও প্রদর্শন করেন মুকুল ও সেন্টু। তবে গত তিন দিন সারাদেশে পালিত হওয়া বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে মাঠেই নামতে দেখা যায়নি মহানগর বিএনপির এই দুই নেতাকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ তারা পদ পদবীর জন্য বিএনপি করে তাই পদ না পাওয়ায় এখন দলের কঠিন সময়ে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, কিছু কিছু নেতা আছে যারা দলের সাধারণ কর্মসূচিতে শোডাউন করে নিজেদের প্রকাশ করতে চায় যে, তারা বড় নেতা। তবে হরতাল-অবরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে তাদের পাওয়া যায় না। দল আসলে সেগুলো বিবেচনা করেই কমিটি দিয়েছে। তবে আমি বিদ্রোহীদেরসহ সবাইকে আহবান করতে চাই আসুন একসাথে মাঠে নামি। আমরা নিজেদের ভেতরে আর ভেদাভেদ রাখতে চাই না এবং কাউকে ছোটও করতে চাই না। আন্দোলনের পর প্রয়োজনে কমিটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।
মহানগরের সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, দালালদের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। ওদের তো নারায়ণগঞ্জের পত্রিকাগুলো মাথায় তুলে ফেলেছিল। এখন দেখেন কারা রাজপথের নেতা আর কারা ঘরকোণে নেতা। আমরা এগুলো বলতে চাই না। মুকুল সেন্টু তো বড় বড় কথা বলছে। এখন অবরোধে হরতালে তারা কই, মাঠে নামে না কেন?
এদিকে এ বিষয়ে জানতে মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকল ও আব্দুস সবুর খান সেন্টুর ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সামাবেশের পর এই দুই নেতা নারায়ণগঞ্জে আসেনি। অন্যদিকে গত তিনদিন বিএনপির অবরোধে জেলায় শত শত বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা হলেও, রহস্যজনকভাবে মুকুল এবং সেন্টুর নামে মামলা হয়নি। অভিযোগ করে কিছু বিএনপি নেতা বলেছেন, সরকারদলীয় নেতাদের সাথে সম্পর্ক থাকায় তাদের নামে পুলিশ মামলা দেয়নি। এছাড়া, পদ পদবীতে না থাকায় তারা তাদের অনুগামীদের অবরোধ কর্মসূচি না পালন করতে নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :