News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

শামীম ওসমানের মাথা ঠিক নাই : গিয়াস


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ১১:৩০ পিএম শামীম ওসমানের মাথা ঠিক নাই : গিয়াস

“নারায়ণগঞ্জে বিএনপির এক প্রেসিডেন্ট আছেন, খবর নিয়ে একটু দেখবেন তিনি অন্য কোনো দলে যাচ্ছেন কি না। তৃণমূলে তো যেতে পারবেন না, তৈমূর আলম খন্দকার লাথি দিয়ে বের করে দেবেন।” নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে এমনই বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তবে তার এই বক্তব্যের তীর্যক সমালোচনা করে পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়ো বক্তব্যে তিনি বলেন, তার এখন মাথা ঠিক নাই। সে দীর্ঘদিন ধরেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন। যখনই সে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন তখনই সে ২০০১ সালের সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা মনে করে আমাকে দেখে। সে কারণে আউল ঝাউল করে কথা বলে। তার এইসব কথা জনগণ গুরুত্ব দেয় না। বরং এটা যে পাগলের প্রলাপ তা সবাই জানে। তার বর্তমানে কোনো জনভিত্তি নেই। তাই যার জনভিত্তি আছে তার বিরুদ্ধে তখন সে বক্তব্য রাখে। মূলত আতঙ্ক ভয় থেকেই সে আমাকে নিয়ে এমন কথা বলে। তার কারণে দলের অনেক মানুষ লজ্জিত। তারা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। আমাদের কাছে তাদের অনেক নেতাকর্মী বলে। তার এমন কথাবার্তায় আমরাও লজ্জা পাই। সে দলের সাংগঠনিক কোনো পর্যায়ে নেই। তিনি একজন অনির্বাচিত ব্যক্তি। তাই তার মুখ দিয়ে যে কিছুই বলাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা সংগঠনের ভিতরে আছে তারা এমন  আবোল তাবল কথা বলে না। সে ২০০১ সালের নির্বাচনে আমার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল। সে গ্লানি, ক্ষোভ থেকেই এই কথাগুলো বলে। সে আসলে পাগল হয়ে গেছে। আমি জেলা বিএনপির আহবায়ক হওয়ার পর থেকেই তিনি এমন কথা বলে আসছেন।

তিনি বলেন, সে চেষ্টা করেছিল দীর্ঘদিন আমি যেনো দলের কোনো পজিশনে আসতে না পারি পাশাপাশি যারা তখন পদে ছিল তাদের নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল আমার বিরুদ্ধে। এগুলো করেও যখন দেখেছে ফাইনাল গেমেও পরে আল্লাহ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে তখন সে আউলায় গেছে। আমি বর্তমানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের মতো এক গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্ব আমি পালন করছি এটা আমার কাছে অনেক বড় কিছু। আমি যখন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি তখনই সে বেসামাল হয়ে গেছে। কারণ সে জানে রাজনৈতিকভাবে সে আমাদের মোকাবেলা করতে পারবে না। জনগণ তাকে লাইক করে না। তার বাড়িতে তার দলের নেতাকর্মীরা কোনোদিন তার ড্রয়িং রুমে যেতে পারে না। অন্য জায়গায় কথা  বলে তাদের বিদায় করে দেওয়া হয়। যেখানে নেতাকর্মীরা সুযোগ পায় সেখানে জনগণ পাওয়ার তো প্রশ্ন উঠে না।

এর আগে গত ১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আওয়ামী লীগের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শামীম ওসমান উপস্থিত হয়ে বক্তব্যকালে বলেন,  ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে ওরা যা নির্যাতন করেছে তা সবারই মনে আছে। সিদ্ধিরগঞ্জের এক এমপি ছিল পল্টিবাজ, আমাদের ১৭ জন লোককে হত্যা করেছিল। তৈমূর সাহেবের ভাই সাব্বিরকেও মেরেছিল। ওদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতিন চৌধুরীর গাড়িতে হামলা করেছিল। আমাদের কী অবস্থা ছিল বুঝুন। আমাদের নেতা-কর্মীরা দেশে থাকতে পারেনি। আমার বাড়ি হীরামহলের দরজা ভেঙে মূত্রত্যাগ করা হয়েছিল। হীরামহল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আমার ভাইয়ের খামারে হাঁসের গলা কেটে ছেড়ে দিয়েছিল। রাইফেল ক্লাব ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেদিন এই কায়সারের বাবা প্রথম হুংকার দিয়েছিলেন, আমরা মরিনি। এ ছিল সেসময়ের পরিস্থিতি। বিএনপির বাচ্চা ছেলেদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওদের যাবজ্জীবনও হতে পারে। এদের দায় দায়িত্ব কে নেবে?

Islams Group
Islam's Group