News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

তৈমূর বিএনপির কেউ না: গিয়াস


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ১১:১৩ পিএম তৈমূর বিএনপির কেউ না: গিয়াস

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের দলত্যাগ করা নিয়ে সারাদেশেই সমালোচনার ঝড় বইছে। তৈমূরের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবার এবং তার ছোট ভাই নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কেউই একমত নন। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। সময়ের নারায়ণগঞ্জকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক দলে যেকোনো মানুষ অংশগ্রহণ করতেও পারে আবার এখান থেকে চলেও যেতে পারে। আবার দল যদি কাউকে প্রয়োজন মনে না করে কিংবা দলে থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এরকম মনে করে দল তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই পারে। তৈমূর সাহেব দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙ্গার কারণে দল তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। দল মনে করে না এই দলে তাকে আর প্রয়োজন রয়েছে এবং দল মনে করে তিনি দলে থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেজন্য দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ব্যক্তি কখন কি করবে এটা তার একান্ত বিষয়। এতে বিএনপির কোনো কিছু যায় আসে না। বিএনপি দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল। এখানে কেউ আসে আবার কেউ যায়। এতে বিএনপির কোনো বিষয় না। আর বর্তমানে যে তৃণমূল বিএনপি নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে তো বিএনপির কেউ যায় নি। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মানে যাদেরকে প্রয়োজন মনে করেছে দল তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাহলে তাকে বাদ দিয়ে দেয়। একজন বাদ পড়া মানুষ কোনো দল করা মানে বিএনপির নাম ভাঙ্গানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি তো এখন বিএনপিতে নেই। যে দুইজনকে নিয়ে তৃণমূল গঠন করা হয়েছে এখানের একজন হলো যিনি এর আগে দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারায় যোগদান করেন, এখন আবার ওই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন এবং আরেকজন হচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। এখানো তো বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমন বলার সুযোগই নেই সে বিএনপি থেকে গেছে। তারা দুজনই বিএনপির কেউ না।    
এদিকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের দলত্যাগ করা নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ শেষে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিতে ভাইয়া গ্রুপের অত্যাচারের বহির্প্রকাশ তৃণমূল বিএনপি। আমি বারবার বলে আসছিলাম বিএনপিতে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। একটি আম্মা গ্রুপ অপরটি ভাইয়া গ্রুপ। আম্মা গ্রুপ মোটামুটিভাবে ভাইয়া গ্রুপের অত্যাচারে লাথি খেয়ে সাইডলাইনে চলে গেছে। আম্মা গ্রুপের সাইডলাইনে চলে যাওয়ারই বহির্প্রকাশ হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি। আমি ছোটবেলা থেকে দেখেছি নারায়ণগঞ্জে জালাল হাজী সাহেব, কালাম সাহেব, তৈমূর আলম খন্দকার সাহেব ও সিরাজ সাহেব বিএনপিকে সংগঠিত করেছেন। যদিও আমি তাদের আদর্শকে পছন্দ করি না। আমার মনে হয় লন্ডন থেকে বসে যিনি দেশ চালানোর চেষ্টা করছেন উনার টার্গেট রাজনীতি না। দেশটাকে অকেজো করা কিংবা অকার্যকর রাষ্ট্র করা। 

শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অনির্বাচিত সংসদ সদস্য যা কিছু বলে তা দেশবাসী জানে। তিনি সবসময় কাল্পনিক, অমূলক কথা বলে থাকেন। তার কোনো কথারই কোনো ভিত্তি নাই। বিএনপিতে কোনো দ¦ন্দ্ব বা গ্রুপিং নাই। ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সরকার বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙ্গার চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু তারা সবসময় ব্যর্থ হয়েছেন। বরং দিনের পর দিন বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। আগের চেয়ে বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী।

Islams Group
Islam's Group