News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

খোকনের বেফাঁস মন্তব্যে নীরব নেতারা


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ১১:০৭ পিএম খোকনের বেফাঁস মন্তব্যে নীরব নেতারা

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক ও নাসিক কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের বেফাঁস মন্তব্য নারায়ণগঞ্জসহ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। প্রতিটি প্রথম সারির গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে তার মন্তব্যের বিষয়টি। যদিও এই ঘটনার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক দিতে পারেননি তিনি। উল্টো গোঁজামিল দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু বেফাঁস মন্তব্য করেও দলের পক্ষ থেকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি তাকে।

সম্প্রতি নিউজ নারায়ণগঞ্জে মেয়র আইভীকে নিয়ে বিষোদ্গার করতে গিয়ে ডিসি এসপির চাকরি থাকবে না এমন মন্তব্য করেন তিনি। বিষয়টি জ্ঞানের স্বল্পতা ও অপরিপক্ক রাজনীতিবিদ উল্লেখ করেই দায় সেরেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তবে সেই বক্তব্য কেবল একটি গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন। দলের সভাপতি হিসেবে অফিসিয়াল প্যাডে কোন ধরনের মন্তব্য তিনি দেননি। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি এবং সমালোচনার মুখে পড়েছেন পুরো মহানগর আওয়ামী লীগ।

খোকন তার বক্তব্যে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘দলের এসপি জানে এই সরকার না থাকলে চাকরি থাকবে না।’ ‘মেয়রের কথা ডিসি এসপি কেন শুনবে? উনি তো শেখ হাসিনার জন্য শহরে কিছু করেন নাই।’ খোকনের এমন মন্তব্যে যেই বার্তা উঠে আসে তার সারমর্ম হচ্ছে, ‘এসপি ও ডিসি কেবল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কথাই শুনবে। সাধারণ মানুষের কথা শোনা তাদের কাজ না। এমনকি সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকেও তারা সাহায্য করবেন না। কারণ তিনি কট্টর আওয়ামী লীগ নন।’ অথচ নারায়ণগঞ্জের কোন ডিসি বা এসপি কখনই এই ধরনের মন্তব্য করেননি বা এই ধরনের আচরণ প্রকাশ করেননি। প্রতিটি ডিসি এবং এসপি মেয়রকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছেন।

মেয়র আইভীর সাথে হকার উচ্ছেদে ২০১৮ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত এসপি ও ডিসি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। এসপি হারুন অর রশিদ থাকাকালীন মেয়র আইভী সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছেন। যেই হারুনকে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ দল বিএনপি বেশ অপছন্দ করতো। ফলে কোন অংশেই তার কথার সাথে বাস্তবিক চিত্র মিলে না। অথচ খোকন দাবি করছেন ডিসি এসপিরা সম্পূর্ণ দলীয়। যা উল্লেখ করে তিনি ডিসি ও এসপিদের অবমূল্যায়ন করেছেন।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এক বক্তব্যে মুখ ফসকে ভুল মন্তব্য করে ফেলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি স্লিপ অব টাং বলে স্বীকার করে নেন। কিন্তু তাতেও তার রক্ষা হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে মেয়র আইভীসহ তার অনুসারীদের চাপে অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় হাই ও বাদল।

কিন্তু দলের পদে থেকে ডিসি এসপিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন খোকন যা ডিসি এসপিসহ পুরো আওয়ামী লীগকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। এরপরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে থাক কোন শোকজ বা জবাব চাওয়া হয়নি। নীরব হয়ে আছেন সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। যেই বিষয়টি নিয়ে তাদের সরব হওয়া ও দলের সম্মান রক্ষার্থে জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন ছিল।

এদিকে দলের নীরবতার কারণে চেপে বসেছে বাহিরের সমালোচনা। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা এই বক্তব্য এবং দলের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছেন। তাদের মতে, আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সত্য বলে ফেলেছেন। যা সহজে গিলতে পারছে না কেউই। একদিকে ক্ষমতাসীন নেতারাও নীরব, অন্যদিকে প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

Islams Group
Islam's Group