পোস্টার লাগানো নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তিনি বলেন, ওইদিন রাতে আমার কয়েকজন লোক পোস্টার লাগাতে যায়। এরপর ১০-১৫টি হোন্ডা তাদের উপর হামলা করে। এখানে একটি অটোরিকশা ছিল। ওই অটোরিকশাতে আমাদের দুজন লোক ছিলেন। তাদের উপর আক্রমণের পর ভুক্তভোগীরা থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। জিডিতে তারা উল্লেখ করেন, তাদের প্রথমে জিজ্ঞেসা করা হয় এই পোস্টার কার? তখন তারা আমার পরিচয় দেয়। তখন তারা আমাদের লোকদের গালিগালাজ করে বলেন, ‘এখানে বর্তমান এমপির পোস্টার ছাড়া আর কারো পোস্টার লাগানো যাবে না।’
সময়ের নারায়ণগঞ্জকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পোস্টার লাগানো অবস্থায় আমার এক লোককে কিলঘুষি মারলে সে কোনোরকমভাবে ওইখান থেকে ছুটে এসে আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি ওসিকে ফোন দেই। ওসি তখন পুলিশ পাঠালে অটোরিকশাসহ আমাদের বাকি লোকদের কোথায় নিয়ে গেছে তা তারা বলতে পারেননি। পরে আমরা জানতে পারলাম সফর আলী কলেজের একটা সংসদ রয়েছে। সে সংসদে ওদেরকে নিয়ে গেছে। আমরা যখন ওসিকে বিষয়টা জানালাম তখন ওইখানেও সে পুলিশ পাঠালে রাত দেড়টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। সর্বশেষ আমাদের বলেছেন, আমাদের যে দুইজন লোক পোস্টার লাগাতে গিয়েছিল তারা হামলাকারীদের চিনতে পারেনি। এর প্রধান কারণ তখন অনেক রাত ছিল। আবার তারা এই এলাকা থেকে গিয়েছিল। এখান থেকে আড়াইহাজারের দূরত্ব অনেক। ওইখানে যখন হামলাকারীরা কথাবার্তা বলছিল ওইসময়ে সোহেল নামের একজন লোক ছিল। যার নাম জিডিতে উল্লেখ করা হয়। সে কার লোক এটা এক কথাতেই পরিষ্কার। তাই আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই।
আপনার মতামত লিখুন :