নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিশাল জনসভার ডাক দিয়ে থাকেন। তবে বরাবরই এই সভাগুলো ব্যক্তিগত জনসভায় রূপ নিয়ে থাকে। সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। তাদেরকে বরাবরই দূরে সরিয়ে রাখা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিশাল জনসভার ডাক দিয়েছেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকায় এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত থাকবেন বলে শামীম ওসমান বিভিন্ন সভায় বলে আসছেন।
শামীম ওসমানের এই ঘোষণার পর থেকেই বিশাল জনসমাবেশ কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রস্তুতি সভা করছেন। এরই মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের রাইফেল ক্লাবে মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই কর্মী সভার ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সাথে কোনোরূপ আলাপ আলোচনা করা হয়নি।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, সভার ব্যাপারে আমার কোনো আলাপ আলোচনা হয় নাই। আমাকে জিজ্ঞাসাও করা হয়নি। সকালে পত্রিকায় দেখলাম মহানগরের ব্যানারে একটা মিটিং হয়েছে। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। যেখানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের মিটিং করতে হলে সভাপতির সাথে আলাপ করে নিতে হয়। এটাই তো সাংগঠনিক নিয়ম। সেটা যদি না করে কি করা যাবে। সেক্রেটারী অন্তত আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন। আমি এই বিষয়ে অবগত নয়।
জনসভার ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, দলীয় নির্দেশনা হলে আমাদের কাছেই আসার কথা। সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে আসার কথা। যে কোনো কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরবারই এসে থাকে। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করে থাকি। দলীয় কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় যে নির্দেশনা আসে আমরা সেগুলো সক্রিয়ভাবে করে থাকি। আমাদের কাছে এরকম কোনো নির্দেশনা আসে নাই। তিনি দলের এমপি হিসেবে করতেছেন। সামনে নির্বাচন আসছে। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার ব্যাপার রয়েছে। এ কারণেই হয়তো করতেছে। এ নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :