এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপির গিয়াসউদ্দিন এক সময়ে একেক দল করে। তাকে বলা হয় রাজনৈতিক প্রস্টিটিউট মানে বেশ্যা। কয়েকমাস আগে দুবাই গিয়ে এক জঙ্গি নেতার সঙ্গে মিটিং করেছেন। জানি কিন্তু। জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নারায়ণগঞ্জে অরাজকতা করবে। মামু বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। জনগণ যদি ক্ষেপে যায় তাহলে কিন্তু রক্ষা পাবেন না। রাজনীতি করতে এসেছেন রাজনীতি করেন কোন সমস্যা না। গত ৬ মাস ধরে নারায়ণগঞ্জে যেভাবে কথা বলছেন সবাই কিন্তু ক্ষেপে আছেন। বড় বড় নেতারা আছেন তারা কিন্তু চুপ।
আগামী শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১২ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব দেলপাড়া মীর কুঞ্জ পার্টি সেন্টারে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম ওসমান বলেন, স্বাধীনতা মানে শেখ মুজিব, আমি আমার মাকে জিজ্ঞেস করলাম মা আমরা কি পরাধীন, আমার মা আমাকে জবাব দিতে পারে নাই, মা মাথা নিচু করে রেখেছন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই আল বদর জামাত রাজাকাররা দেখিয়ে দিতো একে ধর্ষণ করেন, আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করতো। এভাবে ত্রিশ লাখ লোক মরলো, ধর্ষণ করলো, এরকম করেও এখন এদেশে সেই শক্তি এখন কিভাবে কথা বলে, আমার বুঝে আসে না। বঙ্গবন্ধু এই গোলামের জাতিকে স্বাধীন করেছেন, তাকেই হত্যা করা হয়েছে। কত নিষ্ঠুর এই মোস্তাকের বংশ ধররা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নামাজ পরতে চেয়ে ছিল জিয়াউর রহমান নামাজ পরতে দেয়নি, আল্লাহর কাছে জবাব দিবেন না, আমরা তখন নেত্রীতে বলে ছিলাম আমার খুনের বদলে খুন চাই, তিনি না করলেন আমার নেত্রী চেয়েছেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে গেছে তাই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ, এদেশ থেকে গ্যাস দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতা এসে ছিল। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা মাথা নত করে নাই। বিএনপি হঠাৎ করে লাফাচ্ছে কেন, আমি বলেছিলাম বিএনপি ৫২ হাজার মাইলের ভিতরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
গিয়াস উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন মামু ভালো হয়ে জান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত চেয়ারম্যান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন আক্তার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ নিজাম, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহমেদ লিটন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি সামসুল হক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আবু মো. শরিফুল হক, হাজী মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, মজিবুর রহমান, লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক চাঁন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মিরু, কুতুবপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইব্রাহিম খান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী, আব্দুর রাজ্জাক ফকির, মোতালেব মোল্লা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর মেম্বার, রোকন মেম্বার, ঈমান আলী মেম্বার, ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছের আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. আল মামুন মিন্টু ভূঁইয়া, আতাউর রহমান নান্নু, জেলা যুবলীগ নেতা এম ও এফ খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন, লিটন হাওলাদার, রুহুল আমীন, সোবাহন, সুরুজ ব্যাপারী, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ মান্নান, মহিলা মেম্বার অনামিকা হক পিয়াংকা, আরজুদা বেগম খুকি, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, সিকদার মাহবুবুর রহমান হক, বাদল দেওয়ান, তাজুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, মোজ্জাফর সিং, আনোয়ার, ডা. সেলিম মিয়া, সিবু দাস, আব্দুর রাজ্জাক, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান পিন্টু, যুবলীগ নেতা সোবাহান, আক্তার, দ্বীন ইসলামসহ আরও অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন :