নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এক নেতাকে মারধর করলেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। দলের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসেবে যেখানে নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিয়ে আগলিয়ে রাখার কথা সেখানে নিজেই মারধর করলেন বিএনপির পদদারী নেতাকে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনা নিয়ে মহানগর বিএনপির তৃণমূলে বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল এবং জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এসকল কমিটিকে কেন্দ্র করে অনেককেই পদায়িত করার আশ্বাস দিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সুবিধাভোগী হয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসকল কমিটিতে আশ্বাস দেয়া পদ প্রত্যাশী নেতাদের জায়গা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই সাথে তার উপর হামলা করারও পরিকল্পনা করেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সেই সাথে সমাবেশ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুসারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালান। সেই সাথে কিছুক্ষণ সময়ের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় পদবঞ্চিতদের রোষানলে পড়ে বেধড়ক মারধরের শিকার হন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সেখান থেকে মার খেয়ে ফেরার পথে মহানগর বিএনপির একটি ওয়ার্ডের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিমকে বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে মারধর করতে থাকেন টিপু। সেখানে অন্যান্য কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও সকলের সামনেই টিপু একের পর এক চড়থাপ্পড় লাথি মারতে থাকেন। মহানগর সদস্য সচিবের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকেও নিজ হাতে তারই এক নেতাকে মারধর করেন। পরে অন্যরা এসে হাকিমকে সরিয়ে নেন।
এসময় আব্দুল হাকিম বলেন, আমি ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। আমাকে শুধু শুধু মারধর করলো। আমি কিছু করি নাই। তারপরেও আমাকে মারধর করলো।
আপনার মতামত লিখুন :