বন্দর থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু বলেন, হাজী নুরুদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। যখন মহানগরের কমিটি ঘোষণা দেয় আমাদের একটি বড় অংশকে উৎসাহিত করে অব্যাহতিপত্র নিজে প্রস্তুত করে আমাদের অনুরোধ করিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে ছিল হাজী নুরুদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একটি অংশের নেতৃত্বে থাকা হাজী নুরুদ্দিনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বলয়ে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু বলেন, তখন হাজী নুরুদ্দিন আমাদের বলেছিলেন সাখাওয়াত টিপুর নেতৃত্বে আমরা রাজনীতি করবো না। আন্দোলন সংগ্রামে অনেক সময় টোকাইরা বড় ভূমিকা পালন করে। তাই বলে টোকাইকে কমিটি দেয়া যাবে না। আমরা কোনো টোকাইয়ের অধীনে রাজনীতি করবো না। তোমরা আমাদের কাছে অব্যাহতিপত্র দিয়ে যাও। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সাথে বসবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের বলবো যদি আপনারা এই নেতৃত্ব পরিবর্তন না করেন আমরা এই লোকগুলি দল থেকে বেরিয়ে আসবো। এই শর্তে তিনি নিজ জিম্মায় তার বাসায় আমাদের সকলের অব্যাহতিপত্রগুলো রাখছে। পরে আমরা দেখলাম যে কোনোভাবেই হোক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এখন দেখা যায় যাদেরকে তিনি টোকাই বলছেন তাদের সাথেই অর্থাৎ সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে রাজনীতি করতে রাজি হয়ে গেলেন। তার চরিত্রের মূল কারণ হচ্ছে পদ ছাড়া থাকতে রাজি না। তিনি পদলোভী লোক। আমাদের জিম্মি করে পদ নেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র যখন হাজী নুরুদ্দিনের অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করে নিয়েছে তখন তার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এখন সাখাওয়াত টিপুর হাত দিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সাথে প্রতারণা করে হঠকারিতা করে সাখাওয়াত টিপুর নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে। আমরা তার জন্য দোয়া করি দীর্ঘদিন তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। একসাথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন। আমাদের বয়োজেষ্ঠ লোক। উনার বয়স হয়েছে মিছিল মিটিংয়ে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময়ে যদি তিনি কারও হাত ধরে পদ পন তাহলে অখুশি নই। আমরা আর উনার সাথে কোথাও যাবো না। যার কাছেই যাক যেভাবেই যাক আমরা যারা বেরিয়ে আসছি উনাদের ষড়যন্ত্রে উনাদের প্ররোচনায় বের হয়ে আসছি এখন আমাদের কাছে মনে হচ্ছে আমাদের তৎকালীন সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
শিপলু বলেন, কারণ মহানগর ওয়ার্ড কমিটিগুলো যেভাবে গঠন হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে তাদের সাথে আমরা রাজনীতি করতে পারতাম না। কমিটিগুলোতে অধিকাংশই নৌকার লোক, বিভিন্ন জায়গার মোবাইর ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য, চোর, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের দিয়ে তারা কমিটি দিয়েছে। সেখানে আমাদের লোক গেলে বিব্রত হইতাম। এজন্য আমরা নুরুদ্দিন হাজীর দ্বিতীয় সিদ্ধান্তের অর্থাৎ আরেকজনের হাত পা ধরে কমিটিতে থাকা এই সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত না। আমরা আশা করছিলাম মহানগরের দুঃসময়ে তিনি আমাদের আগলে রাখবেন। তিনি আমাদের আগলে না রেখে হুট করে মূলা এবা ধারার সাথে পাবদা মাছ এবং চিংড়ি মাছের মতো রান্না হওয়ার জন্য চলে গেছেন। তার সাথে তার নিজ বলয়ের কোনো লোকজনও নেই। তার এই সিদ্ধান্তের সাথে অনেকেই একমত না। তারপরেও আমরা অখুশি না।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন সন্ধ্যায় নুরুদ্দিন আহমেদকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যা নিয়ে মহানগর বিএনপিতে অনেক আলাপ আলোচনা সরগরম রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :