News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০

সন্ত্রাস নিয়ে এক সুর


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৩, ১১:১৩ পিএম সন্ত্রাস নিয়ে এক সুর

চলতি বছরের শুরুতে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে আলোচনায় এসেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান। নিজ পরিবারের লোকজন হলেও তাদের ছাড় নয়, হাতের পাঁচ আঙুল এক নয় বলে মন্তব্য করেন। এবার বড় ভাইয়ের পর ছোট ভাইও এগিয়েছেন একই পথে। বড় ভাইয়ের সুরেই বললেন সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া যাবেনা, এমনকি নিজের আত্মীয় হলেও না।

৭ জুন বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প মালিকদের সাথে বৈঠককালে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে শামীম ওসমান বলেন, ‘ব্যাবসায়ীরা নিশ্চিন্তে থাকেন। যে যেই দল করুক, আমার আত্মীয়ই হোক না কেন। আপনারা কাউকে প্রশ্রয় দিবেন না। আপনার উৎপাদিত পন্য আপনি কি করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। এখানে কারও মাস্তানি চলবে না। আমার মনে হয় ব্যবসায়ীদেরও দোষ আছে, তা না হলে এত বড় বড় ব্যবসায়ীদের সামনে মাস্তানরা মাস্তানী করার সাহস পায় কিভাবে? আপনারা একটা অনুষ্ঠান করুন। প্রয়োজনে র‍্যাব, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আসবো।’

এর আগে ৩ জানুয়ারী শহরের বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বক্তব্য প্রদানকালে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, বর্তমানে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে-পেলের জন্ম হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জে। সেখানে আবার নেতৃত্ব দেওয়া হয়। সেই নেত্রীকে বলা হয় হাম্মাজান। হাম্মাজান যেই হোক না কেন, কোন অবস্থায় কোন ব্যবসায়ীর ক্ষতি করা যাবে না। আরেকটা আছে ভাইজান গ্রুপ। মোটরসাইকেল দেওয়া হয়, কে, কবে, কোথায় থেকে মোটরসাইকেল কিনলো, কিভাবে মোটরসাইকেল রাস্তার মধ্যে নামে। কিভাবে বিভিন্ন কারখানায় কারখানায় জুট ব্যবসার সৃষ্টি হয়! দেখেন। নতুন নতুন গাড়ি কোথা থেকে আসে, তদন্ত করেন।’

সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি এখনও মরি নাই। ওটা যদি আমার বাপও হয়, কোন রকমের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা সরাসরি বলতে না পারলে লিখিত ভাবে অভিযোগ বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের কাছে জমা দিবেন। কারখানা গুলোতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখবেন। এবার প্রয়োজনে লাল পতাকা নিয়ে আপনাদের সাথে বের হবো। আমরা এত গুলো মানুষ একত্রিত হলে এমন কোন মায়ের বেডা জন্মাইছে, তারা বাহাদুরি করবে? নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস করবে। মোটরসাইকেল বাহিনী চলবে না। সে যদি আমার বাপও হয়, তাহলেও ছাড় দেওয়া হবে না। কোন রকমের ছাড় নাই। কেউ কোন দিন বলবেন না ওসমান পরিবারের সদস্য। হাতের পাচ আঙ্গুল যেমন এক হয় না। ওসমান পরিবারের ৫টা আঙ্গুলও আলাদা আলাদা রকমের আছে, সবগুলো এক সমান না। সুতরাং, আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নাই। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আহ্বান করবো তারা লম্বা লম্বা চুল রেখে, মোটরসাইকেল নিয়ে  আমার ফ্যাক্টুরীর ভিতরে প্রবেশ করে আমার মালিককে ধমকা ধমকি করবে। আমার ঝুটের দাম নির্ধারণ করবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

এবার সেই মোটরসাইকেল বাহিনীর নাম সরাসরি উচ্চারণ না করলেও ব্যবসায়ীদের কাছে বিভিন্ন সময় হানা দেয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন শামীম ওসমান। তিনিও একই সুরে বলেন, 'আমার আত্মীয় হলেও তাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। এমনকি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য র‍্যাব, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আসার কথা বলে এই নেতা। তবে সেলিম ওসমান ব্যবসায়ী নেতা হয়ে ঘোষণার পরেও যখন কাজ হয়নি, তখন শামীম ওসমানের ঘোষণার পর কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর অন্যতম কারন, শামীম ওসমান যখন যা ঘোষনা দেন তার বাস্তবায়ন হয় খুবই সামান্য। অধিকাংশ ঘোষনাই কেবল মুখে মুখেই সীমাবদ্ধ থাকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, 'ব্যবসায়ীরা তাদের ঝুট পন্য সহ নানান কাজে সন্ত্রাসী ও মোটরসাইকেল বাহিনী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কারণে বাধা পাচ্ছেন নানান ভাবে। এমন অবস্থায় শুরুতে সেলিম ওসমান এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেও কার্যত সমাধান হয়নি। অবশেষে শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। আশা রাখছেন অচিরেই এই সমস্যা দূর হবে।'

Islams Group
Islam's Group