মঙ্গলবার (৬ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত রিজাল্টে তৈমূর আলম খন্দকার হিউমেন্টস রাইস্টস ও সিকিউরিটিজ’ল (মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন) অ+ (এ প্লাস) পেয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইতোপূর্বে ২০১৮ সনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে অনুরূপ মার্কস পেয়ে ক্রিমোলজী এন্ড ক্রিমিনাল জাষ্টিস এবং ২০২০ সনে ভিক্টোমোলজী এন্ড রেসট্রোরোটিভ জাষ্টিস বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের উপর থিছিস করে আমেরিকান ইনডিপেন্ডেট ইউনির্ভাসিটি থেকে পি.এইচ.ডি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। বর্তমানে তিনি আরবী সাহিত্য ও ইসলামের ইতিহাস নিয়ে স্টাডি করছেন।
শিক্ষানুরাগী তৈমূর আলম খন্দকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর, ভাষানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নারায়ণগঞ্জ কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও গণবিদ্যা নিকেতনের ও ইসলামিক সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ক্যাটাগরির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন বেগম রোকেয়া খন্দকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, নানার নামে মনিরউদ্দিন ব্যাপারী কওমী মাদ্রাসা। সমাজকে নিরক্ষর মুক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থা’ যার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বস্তিতে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সহায়তায় ১৯টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালিত হতো। যৌতুক প্রথা নিরোধ আইন প্রণয়ন করার দাবিতে ১৯৭৭-১৯৮০ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তৈমূর আলম খন্দকার সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মানববন্ধন ও জাতীয় দৈনিকে আর্টিকেল লিখে যৌতুক বিরোধ জনমত গঠন করেন, ফলশ্রুতিতে ১৯৮০ সনে পার্লামেন্টে যৌতুক নিরোধ আইন পাস হয়।
পেশায় তিনি এ্যাপিলেট ডিভিশনে তালিকাভুক্ত একজন আইনজীবী এবং জাতীয় দৈনিকে কলামিষ্ট। ইতোমধ্যে তার প্রণীত ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু বই প্রকাশনার অপেক্ষায়। তার দুই কন্যা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার ও নুসরাত খন্দকার ইংল্যান্ড থেকে আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :