জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ জন্মবার্ষিকীও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে পালন করেছে। এতে তাদের দ্বন্দ্ব ফের আলোচনা হয়ে উঠেছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সম্মেলন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গ্রুপিং শুরু হয়। এতে নেতারা তাদের সমর্থকদের নিয়ে একে একে অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। সেই দ্বন্দ্ব ফের দেখা গেলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে। শুক্রবার ১০৩তম জন্মদিনে সকাল ১০টায় ২নং রেলগেইট দলীয় কার্যালয়ে বাহিরে প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবর্ক অপর্ণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল ও আবু জাফর চৌধুরী বিরু। এরপর তাঁরা দলীয় মাইকে আধঘণ্টা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাই’য়ের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দীপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদত জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সামসুজ্জামান ভাষানী, খালেদ হোসেনসহ জেলা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা।
অপরদিকে দলীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাসহ তার সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন না। আলোচনা সভায় ছিলেন মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, উপ দপ্তর সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, কার্যকরী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুমনসহ শহর ও বন্দর অঞ্চলের নেতারা।
আলোচনা সভায় ছিলেন না মহানগরের সহ সভাপতিবৃন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক তিনজনসহ অনেক পদ-পদবী নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর থেকে সভাপতি আব্দুর হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এদিকে মহানগরের ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়ে আবারো মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মধ্যে দ্বন্দ্ব রূপ প্রকাশ্যে। আর বিশেষ করে কার্যকরী সদস্য এমপি শামীম ওসমানের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ান আনোয়ার হোসেন। ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খানকে নির্বাচিত করা নিয়ে শামীম ওসমান ও আনোয়ার হোসেন একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্যে রাখেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টিতে চলতি বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রভাব ফেলতে তা সময়ে বলে দিবে জানিয়েছে একাধিক নেতাবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :