নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল বলেন, আজ আমাদের দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পরাশক্তিরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানে রূপান্তরিত করার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের দেশ ১০০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য ওই খুনি জিয়াদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিল। ২১ বছর পর তিনি ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করা শুরু করেন। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলাদেশকে আরো ৫০ বছর পিছিয়ে নিয়ে যায়। যদি ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সার পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতো তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতো।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জে লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের শপথ নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আজ শপথ নিতে হবে আমি ঘুষ খাবো না, কারো কাছ থেকে ঘুষ নিবো না। কেউ কেউ বলেন ওসমানের সা¤্রাজ্য। শামীম ওসমানের সা¤্রাজ্য। শামীম ওসমানের সা¤্রাজ্যই চলবে। এই শামীম ওসমানের সা¤্রাজ্যের দুর্গ হচ্ছে এই ১০নং ওয়ার্ড। এই গোদনাইল দুর্গকে অবশ্যই সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ গোদনাইলবাসীর কাছে আমরা চিরঋণী। এই গোদনাইলবাসী আমাদের বিপদের সময় পাশে ছিল। জিয়া মোশতাকরা চিন্তা করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাকে নির্বাসিত করা হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এখন সবার হৃদয়ে বেঁচে আছেন। সবাই টুঙ্গিপাড়ায় গেলে বলতে পারবেন তিনি কোথায় থেকে এসে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে গেলে সবাই উপলব্ধি করবেন সে কতো বড় নেতা ছিলেন। শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের উন্নয়ন। সেজন্য আমি তাঁর জন্য দোয়া চাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতাখারুল আলম খোকন, নাসিক ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :