আগামী ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ আন্তঃ জিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।
১৮ জানুয়ারী আন্তঃ জিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন পাগলা শাখায় প্রচারণা সভায় পলাশ বলেন, অতীতে আমি আমার যথাসম্ভব সামর্থ্য দিয়ে আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও আরো সক্রিয়ভাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এজন্য সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকা জরুরি। আমি নির্বাচিত হলে, আপনাদের জন্য আনতে চাই পরিবর্তন। এই পরিবর্তন শুধু কথার কথা নয়, একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমি গঠনমূলক ও ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, একদিন হঠাৎ করে খবর প্রচার হলো আমাদের কল্যাণ তহবিলের চাঁদা বন্ধ। এর মধ্যে আমাদের যেসব শ্রমিকেরা নিজের ইচ্ছায় বৈধভাবে টাকা দেয় সেটার জন্য আমাদের যুগ্ম সম্পাদক আলম ভাইকে ফতুল্লা থানায় আটক করে নিয়ে যায়। আমি তাৎক্ষনিকভাবে থানায় ছুটে গিয়েছি। আমি ওসি সাহেবকে ফোন দিলাম ওনি জানালেন ‘ভাই এটা আমার হাতে নাই এটা এসপি সাহেবের হাতে’। আমি সাথে সাথে এসপি সাহেবকে ফোন করলাম। তাঁকে বললাম, ‘আমার যুগ্ম সম্পাদককে ছাড়তে হবে।’ তখন আইজিপি ছিলেন বেনজীর আহমেদ সাহেব। তাঁর নির্দেশে সারা দেশে হাজার হাজার এ ধরনের নেতা শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ৬ মাস থেকে শুরু করে এক মাস পর্যন্ত কারাভোগ করে। কিন্তু আমি ফতুল্লা থানার সকল নেতাদের সাথে নিয়ে ওই অবস্থায় যুগ্ম সম্পাদককে বের করে আনি। শুধু তাই নয় থানা থেকে আমাদের বিরিয়ানী খাইয়ে আপ্যায়ন করে আমাদের ওইখান থেকে ছেড়েছে। সে যোগ্যতা আমার রয়েছে। ছোটখাটো কোন সমস্যা হলে এখন আমাকে যেতে হয় না। নিচেরর সারির নেতারাই এটা পারে। বড় কিছু ঘটলে আমি যাই।
আপনার মতামত লিখুন :