গত ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন একসাথে বিলুপ্তি ঘটা আওয়ামী লীগের চারটি সহযোগী সংগঠন এখনো পুনর্গঠন হয়নি। দলের নেতারা বলছেন, কমিটিগুলো সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। একের পর এক কমিটি বিলুপ্তিতে পদহারা হয়েছেন শামীম অনুসারীরা।
ভোটের মাত্র ৮ দিন আগে ৮ জানুয়ারি দুপুরে ছাত্রলীগের মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। মূলত মেয়াদ উত্তীর্ণের অজুহাতে বিলুপ্ত করা হয় এই কমিটি। যদিও একই সময়ে প্রণীত জেলা ছাত্রলীগের কমিটি এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে। মহানগর কমিটির সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু।
নাসিক নির্বাচনের ভোট চলাকালে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে একযোগে বিলুপ্ত করা হয় জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল কমিটি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির আহবায়ক হিসেবে ছিলেন নিজাম উদ্দিন এবং সদস্য সচিব খোকন। অন্যদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন জুয়েল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান।
ভোটের পরদিন ১৭ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে কমিটি বিলুপ্ত করার কথা জানানো হয়। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আলমগীর কবির বকুল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না।
ওই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘এটা কেন্দ্রীয় কমিটি বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষন করে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিস্ক্রিয়তা, অনেক দিনের কমিটি এসব দেখে তারা। কেন্দ্রীয় কমিটিই স্বপ্রনোদিত হয়ে করেছে। সিদ্ধান্তে কিছুটা শাস্তিমূলক হলেও হতে পারে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জে এসে দেখেছে এই সমস্ত কমিটি একপেশে। তারা সংগঠনের চাইতে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয় বেশী। সিটি নির্বাচনে তাদের কার্যকলাপ সংগঠন পরিপন্থী। তাদের সাংগঠনিক মেয়াদও শেষ হয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই এই কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত এসেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :