বন্দরে কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র জিলকদ ওরফে জিহাদের (১৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে মামার প্রহারে জিহাদ মৃত্যু বরণ করেছে।
অভিযুক্ত মামা ওয়াসিম জানিয়েছে, আমার ভাগিনা দীর্ঘদিন ধরে টাইফুয়েড ও লিভার জনতি রোগে আক্রান্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকাস্থ তার মায়ের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত বুধবার (৭ জুন) বন্দর থানার লালখারবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্র জিলকদ ওরফে জিহাদ বন্দর থানার লালখারবাগ এলাকার রকিবুল হাসান মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার লালখারবাগ এলাকার ফরিদ আহাম্মেদের মেয়ে ময়না বেগমের সাথে গত ১৩ বছর পূর্বে একই এলাকার রকিবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর পর রকিবুল হাসান হাঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। পরে তাদের সংসারে জিলকদ ওরফে জিহাদের জন্ম হয়। জিহাদের বাবা রাকিবুল হাসান নিরুদেশ থাকায় জিহাদের মামাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা জিহাদের মা ময়না বেগমকে পুনরায় ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিয়ে দেয়। জিহাদ রয়ে যায় তার মামা ওয়াসিম মিয়ার কাছে। জিহাদ কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে আসছে। অজ্ঞাত কারণে রাগে ক্ষোভে গত বুধবার মামা ওয়াসিম তার স্কুল পড়–য়া ভাগিনা জিলকদ ওরফে জিহাদকে মাথায় তোলে আছাড় মারে। ওই সময় সে গুরুতর আহত হলে তার মামা তাকে ওই দিন তার মায়ের কাছে ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় দিয়ে আসে। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্কুল ছাত্র জিহাদ তার মায়ের কাছে মৃত্যুবরণ করে।
অভিযুক্ত মামা ওয়াসিম মিয়া জানান, ছোটকাল থেকে জিহাদকে আমি বড় করে তুলেছি। সে আমার সন্তান। গত ২-১ বছর ধরে জিহাদ টাইফুয়েড ও লিভার রোগে ভুগছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার ভাগিনা তার মায়ের কাছে মৃত্যুবরণ করলে শুক্রবার সকালে তাকে বন্দর লালখারবাগ এলাকায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :