নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সালমা আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষিকা তার স্বামী রুহুল জামিলের হত্যার বিচার চাওয়ায় হত্যার হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দু’টি মেয়ে শিশু নিয়ে তিনি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর ভাশুর রুহুল কবির তাদের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন। সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই ভাশুর তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এই স্কুল শিক্ষিকার।
স্বামীর সম্পদের হিসাব চাইলে তার ভাশুর তাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে স্কুল শিক্ষিকা অভিযোগ করেন। নিজের ও সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে কাউকে কিছু বলতেও পারছে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
বন্দরের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষিকা সালমা আক্তারের স্বামী রুহুল জামিল খুন হয় ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ললাটি সুখেরটেক এলাকায়। সালমার শাশুড়ি রুহুল জামিলের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি পরিচালনা করছেন ভাশুর রুহুল কবির। রহস্যজনক কারণে তার ইচ্ছায় বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করায় রায়ও হচ্ছে না।
অন্যদিকে খুন হওয়া রুহুল জামিলের মেয়ে দু’টি নাবালক হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে ভাশুর।
ওয়ারিশ অনুযায়ী স্বামীর প্রাপ্য অংশটুকুও দিচ্ছে না, যা দিয়ে তার সংসার খরচ চালাতে পারবে। উপায় না পেয়ে বন্দরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি টিউশনি করে মেয়ে দু’টিকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এ গৃহবধূ।
সালমা আক্তার বলেন, স্বামী খুন হওয়ার তিনদিন আগে একটি হাসপাতালে আমি ভর্তি ছিলাম সেখানে গিয়ে আমার ভাশুর আমার স্বামীকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, তোকে কঠিন শিক্ষা দেব। এই হুমকির পরই খুন হওয়ায় আমার শাশুড়ি তার বড় ছেলেকেই সন্দেহ করতেন। স্বামী হত্যায় আমাকে বাদ দিয়ে শাশুড়িকে বাদী করে মামলা করায় ভাশুর। এখন ভাশুরের ইশারায় চলছে মামলা।
আপনার মতামত লিখুন :