দিন যতোই যাচ্ছে ততোই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এ ঋতুটি এলেই সবাই চায় শীতের পিঠার স্বাদ নিতে। তবে সবার ভাগ্যে সে সুযোগ জোটে না। বিশেষ করে এতিম কিংবা পথশিশুদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ একদমই কম। তবে সমাজের কিছু পরোপকারী মানুষের মাধ্যমে তাদের অনেক ইচ্ছাই পূরণ হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি “রংমেলা নারী কল্যাণ সংস্থা ও রংমেলা যুব সংঘ” নামের দুটি সংগঠনের উদ্যোগে শতাধিক এতিম শিশু নানা প্রকার শীতের পিঠার স্বাদ পেলো।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুসলিমনগর এলাকার বায়তুল আমান সরকারি শিশু এতিমখানায় এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এসময় চিতল পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, মালপোয়া পিঠা, বিবিখানা পিঠাসহ প্রায় ১৫ রকমের পিঠা পেয়ে তাদের আনন্দের সীমা ছিল না।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রংমেলা নারী কল্যাণ সংস্থার সহ-সভাপতি জুম্মান মিয়া, সহ-সভাপতি মো. সোহাগ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি ঝর্ণা, সাধারণ সম্পাদক জিহাদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক চঁন্দ্রা মিরাজ, কোষাধ্যক্ষ রাদিম করিম, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া অনু, প্রচার ও প্রচারণা বিষয়ক সম্পাদক সাল সাবিল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সবুজ রায় প্রমুখ।
আয়োজনের বিষয়ে রংমেলা নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সাবিরা সুলতানা নীলা বলেন, আজ আমরা যে আয়োজন করেছি এই আয়োজনের সঙ্গে রংমেলা যুব সংঘ নামের আরেকটি সংগঠন যুক্ত রয়েছে। আমরা দুই সংগঠন মিলে এতিম যে শিশু রয়েছে তাদের সঙ্গে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। আসলে আনন্দ কিন্তু ভাগাভাগি করার মধ্যেই আনন্দটা বেশি। এখানে যে এতিম শিশুরা রয়েছে তাদের দেখে আমার নিজেরই খুব খারাপ লাগছে। আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে এগিয়ে আসা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস জানান, ওই ব্যক্তি সবচেয়ে ভাগ্যবান যার মা-বাবা বেঁচে আছেন। যাদের মা-বাবা আছে তারা তখন বুঝতে পারে না তারা যে কতোটা ভাগ্যবান ব্যক্তি। যার মা-বাবা নেই পৃথিবীতে তার ছাঁয়া নেই, তার কোনো আশ্রয় নেই। আমাদের পক্ষে সবাইকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না হলেও আমরা সরকারি সাধ্যমতে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমরা যদি সবাই সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে আসি তাহলে কেউ কখনো নিজেকে একাকিত্ব অনুভব করবে না। যারা আজকের এই আয়োজন করেছে এটার পরিসর, কলেবর আরো বাড়বে এবং আমরা এইসব আয়োজন করে এতিম শিশুদের কিছুটা আনন্দ দিতে পারি। তাহলে আমাদের ক্ষুদ্র জীবনে এটাই বড় অর্জন হবে বলে আমি মনে করি।
আপনার মতামত লিখুন :