শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জে ৩৬টি বিক্রয়কেন্দ্রে কার্ডধারীরা পাবে সুলভমূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ২৪টি বিক্রয়কেন্দ্র এবং রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে রয়েছে ১২টি বিক্রয়কেন্দ্র। এসব বিক্রয়কেন্দ্র থেকে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা দরে ও প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে ক্রয় করতে পারবেন ভোক্তারা। ৩৬টি বিক্রয়কেন্দ্রে কার্ডধারী রয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৪০০ জন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ওএমএস এর চাল ও আটা বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৩৬টি। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে ২৪টি। অপরদিকে সোনারগাঁ থানা এলাকায় ৭টি ও রূপগঞ্জ থানা এলাকায় ৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে ২ টন করে আটা ও ১ টন করে চাল বরাদ্দ থাকবে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবে। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা দরে ও প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রি হবে। ইতোপূর্বে ওএমএস এর চাল ট্রাকযোগে সেল হলেও চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে সেটা বন্ধ রয়েছে। পূর্বে যেকেউ বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ওএমএস এর চাল ও আটা ক্রয় করতে পারলেও বর্তমানে ওএমএস এর উপকারভোগীদের কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০টি বিক্রয়কেন্দ্রের উপকারভোগীদের কার্ডের তালিকা করা হয়েছে। নাসিকের বাকি ২৪টিসহ সবগুলো বিক্রয়কেন্দ্রের উপকারভোগীদের কার্ডের তালিকা তৈরির কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪০০ জন হিসেবে জেলায় ৩৬টি বিক্রয়কেন্দ্রে কার্ডধারীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৪০০ জন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট ২ লাখ ১ হাজার ৪২০ জন টিসিবির কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় টিসিবির কার্ডধারী রয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার। যারা টিসিবির পণ্য হিসেবে তেল ও ডালের সঙ্গে ৫ কেজি করে চালও পাচ্ছেন। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অধীনে ডিলার রয়েছেন নাসিক এলাকায় ৩৫ জন, সোনারগাঁয়ে ৭ জন ও রূপগঞ্জে ৫ জন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসমা উল হোসনা জানান, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ওএমএস এর কার্ড পাবেন না। একই মোবাইল নাম্বারে একাধিক কার্ড থাকলে সেগুলোও বাতিল হবে। জেলা প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা বিক্রয় ক্যালেন্ডার তৈরি করে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে সুলভমূল্যে চাল ও আটা বিতরণ করছি।
উল্লেখ্য, খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস)-এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের সহায়তার জন্য সুলভমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে সরকার। এ জন্য প্রাথমিকভাবে দেশের এক লাখ লোককে দেওয়া হবে ডিজিটাল কার্ড। এই কার্ড নিয়ে ওএমএসের কেন্দ্র থেকে সহজেই চাল কেনা যাবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও স্ট্যাম্প সাইজের ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিজিটাল কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর যাঁর নামে কার্ড তাঁকেই খাদ্যশস্য নিতে হবে। অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। এই কার্ড বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে ভোক্তা সপ্তাহে এক দিন খাদ্যশস্য কিনতে পারবেন। বিক্রয়কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ডের মাধ্যমে চাল ও আটা নিতে হবে। তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল করা হবে। কার্ডে পণ্য উত্তোলনের সব ঘর শেষ হয়ে গেলে কার্ড জমা দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে। প্রতিবার বিক্রয়ের সময় ‘বিতরণ’ চিহ্ন ঘরটি পাঞ্চ মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দেওয়া হবে। কার্ডটি হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় খাদ্য অফিসে অবহিত করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :