ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি দ্বিতীয় দফার মেয়াদেও শেষ হয়নি। সড়কটির নির্মাণ কাজও চলছে ঢিমেতালে। এরই মধ্যে শহরের চাষাঢ়া থেকে চাঁদমারী পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণের কোন উদ্যোগ নেই। চাঁদমারী অংশের ভাঙ্গাচোরা খানাখন্দকে পরিণত হওয়া সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরেই ভোগান্তির অন্ত নেই। প্রায়শই এই খানাখন্দকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।
সওজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ যাতায়াতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর-লৌহজং-মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচে যাতায়াত করা যাবে। ৬ লেনে উন্নীত করার পর সড়কটির মোট প্রশস্ততা হবে ১৩৮ থেকে ১৪০ ফুট। শিবু মার্কেট, জালকুড়ি ও ভূঁইগড় নামক স্থানে একটি করে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। যাত্রী ওঠা-নামার জন্য যানবাহন যেন থামতে পারে সেজন্য বাস-বে নির্মাণ করা হবে। জনগণের পারাপারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান সাইনবোর্ড ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সড়কটির মাঝখানে দুই মিটার চওড়া মিডিয়ান থাকবে। এর মধ্যে নানা প্রজাতির ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ থাকবে। পুরো সড়কে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ধীরগতির যানবাহনের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া করে উভয়পাশে সার্ভিস লেন থাকবে। সড়ক বিভাজক দিয়ে তা আলাদা করা হবে। সড়কের পাশ দিয়ে মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য ফুটপাথ থাকবে। সেখানে বাগান হবে। সড়কে যেন পানি না জমে তার জন্য আরসিসি ইউ ড্রেন, সসার ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। যানবাহন সুশৃঙ্খলভাবে সড়ক পার হওয়ার জন্য একটি ইউটার্ন থাকবে। চার লেনের বর্তমান সড়কের পুরাতন পেভমেন্ট তুলে সেটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ৯টি বক্স কালভার্ট সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদের সময় শেষ হলেও প্রকল্পটির বেশিরভাগ কাজই বাকি রয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের চাষাঢ়া থেকে চাঁদমারী পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণের কোন উদ্যোগ নেই। চাঁদমারী এলাকায় যেমন বৃষ্টি হলে লিংকরোডে পানি জমে থাকছে তেমনি এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরেই সড়ক ভাঙ্গাচোরা খানাখন্দকে পরিণত হওয়ায় জনসাধারণকে দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের অন্ত থাকছে না তাদের। প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। শীঘ্রই এ অবস্থার পরিত্রাণ চায় নারায়ণগঞ্জবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :