News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০

যে কোন সময়ে ভেঙে পড়বে হাবিব কমপ্লেক্স!


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩, ১১:০৯ পিএম যে কোন সময়ে ভেঙে পড়বে হাবিব কমপ্লেক্স!

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার এস এম মালেহ রোডে অবস্থিত হাবিব শপিং কমপ্লেক্স। শুরুতে যেই নকশা নিয়ে ভবনটি গড়ে উঠেছিল, সেটার সাথে ভবনের বর্তমান অবস্থার কোনো মিল নেই। এতে করে যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

কমপ্লেক্সে প্রায় ৪ শ দোকান রয়েছে। যেখানে কাজ করে ২ হাজার মানুষ। তবে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং ভূমিকম্প এড়াতে পর্যাপ্ত ফ্রি এক্সিট নেই এখানে। এছাড়া ভবনের বারান্দা কেঁটে দোকান নির্মাণ, লিফট বন্ধ করে দোকান নির্মাণ, সিঁড়ি কেটে দোকান নির্মাণ এবং ভবনের নীচ তলার পিলারও কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে মালিকদের বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালে হাবিব কমপ্লেক্সের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তবে এর পরও টনক নড়েনি মালিক পক্ষের। তাদের এই ভবনটিকে ঘিরে একের পর এক অনিয়ম চলছেই। হাবিব কমপ্লেক্সের নাম উল্লেখ করে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, এখানে অগ্নি নির্বাপক কোন ব্যবস্থা নেই। নেই জরুরি অবতরণ ব্যবস্থা। এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার পাইকার সমাগম হয়। তারা হয়তো জানেনই না মার্কেটের কোথায় কি রয়েছে। এখানে যদি রানা প্লাজা বা চকবাজারের মত ঘটনা ঘটে তাহলে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে পয়সা উপর্জান করবে এটা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। তাই ঈদের পর উক্ত দুটি মার্কেট সহ নারায়ণগঞ্জে যেখানে যেখানে নীটওয়্যার বা গার্মেন্টস নাম দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাসিকের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ^াস বলেন, ভবনটিতে যেই পরিমাণে দোকান আছে সেই পরিমানে অগ্নি নিরাপত্তা নেই। ভূমিকম্প এড়াতে বের হওয়ার পর্যাপ্ত এক্সিট সিঁড়িও নেই। সবকিছু মিলিয়ে বিল্ডিংটির যেই রূপান্তর হয়েছে। সেই হিসেবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ।

অনিক নামে হাবিব কমপ্লেক্সের এক হোসিয়ারী ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ভাই ভয়ে আছি কখন ভাইঙ্গা পড়ে। ভূমিকম্প হইলে তো নিচেও নামতে পারমু না। তিনটা সিঁড়ি আছিল, এখন দুইটা মাস্টার সিঁড়ি বন্ধ কইরা মোবাইলের দোকান বানাইসে। এগুলি সব করে আউয়াল সাব আর তার সাথে কিছু লোভী মানুষ আছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, আব্দুল আউয়াল টাকার মার্কেটের বারোটা বাজাইসে। এটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট। তবে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান খোঁজ খবর নেয়না। খবর নিবো যখন ভাইঙ্গা পড়ব। একবার সেলিম ওসমান এটা নিয়া কথা বলছিল, এরপরও কিছু হয় নাই। ফায়ার সার্ভিস আর রাজউক হইসে টেকা খাইয়া চলে যায়।

জানতে চাইলে হাবিব কমপ্লেক্সের মালিক আব্দুল আউয়াল বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য না। পিলার কাটার সাথে আমি জড়িত না। সেখানে আরেক জন মালিক আছে। আর সিঁড়ি বন্ধ করা, লিফট বন্ধ করা এসব মিথ্যা অভিযোগ। সব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

Islams Group
Islam's Group