ধলেশ্বরী নদীর তীরে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম এলাকায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় নদীতে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ড্রেজার ও বাল্কহেড পরিচালনা করায় তীর বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনা ৪টি বাল্কহেড ও ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২২ মে) বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, উপ- পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা রাশিদুলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় একটি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে কয়েকটি অবৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, সেমিপাকা ঘর, ড্রেজারের পাইপসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ধলেশ্বরী নদীর তীরে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম এলাকায় আমাদের তালিকা অনুযায়ী ৭৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সোমবার প্রথম দিনের অভিযানে ভেকু কাদামাটির গর্তে আটকে যাওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম বিলম্ব হয়। পরে আরও ২টি ভেকু এনে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনের অভিযানে সেমিপাকা ঘরসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে বাকী অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ধলেশ্বরীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :