News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বাজারে সংযমের অভাব


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | সময়ের নারায়ণগঞ্জ রিপোর্ট : প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ১১:১১ পিএম বাজারে সংযমের অভাব

পবিত্র রমজান মাসকে সংযমের মাস বলা হলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেটি অনুপস্থিত। রমজান মাস উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মূল্যছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায় এর উল্টো চিত্র। রমজান শুরুর আগে থেকে বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ানো হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটসহ নানা অজুহাত। ফলে রমজান উপলক্ষে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও চড়া দামের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার তদারকি করার জন্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরগুলোর নানা প্রচেষ্টাও কাজে আসছে না। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজান মাস শুরু হওয়ার কারণে প্রতি ডজন লেবুর দাম দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। যা সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বেগুণের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, সবজি বাজারে আলু ২০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, করলা ১০০ থেকে ১২০, কচুমুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০, শসা ২৫ থেকে ৩৫, মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫,পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৩৫, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, শিম ৩৫ থেকে ৪৫, গাজর ৩৫ থেকে ৪০, মুলা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা শুক্কুর মিয়া জানান, পাইকারীতে দাম বাড়ছে তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন লেবুর দাম ছিল পাইকারীতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। লেবুর ডজন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকার বেশি। একইভাবে অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে।

কালিবাজারের কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতিকেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা, ১০০ টাকা বেশিতে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৪০-৬৫০ টাকায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৯০০ টাকায়, ছাগলের মাংস প্রতি কেজি ১০৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকায়, রসুন প্রতিকেজি ১৪০ টাকা, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, জাতভেদে কেজি প্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৮৫-১৯০ টাকা। এই দুই পণ্যের পর্যাপ্ত আমদানির পাশাপাশি শুল্কছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু ভোক্তারা শুল্কছাড়ের এই সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।

এসব বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর একজন নেতা বলেন, চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি, প্রচারণা করছি। ব্যবসায়ীদের রোজার সংযম রক্ষা করার আহবান করছি। একইভাবে ক্রেতাদেরও একসাথে পুরো মাসের বাজার না করার অনুরোধ করছি। কিন্ত এসবে কাজ হচ্ছে না। সরকার শুল্কছাড় দিলেও অন্য অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে অভিযানের পরই তা আগের অবস্থায় চলে আসছে। রোজার আগের দিন হিসেবে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কয়েকদিন পর এসব পণ্যের দাম কমে আসবে।

Islams Group
Islam's Group