নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ৯ দিন পর প্রয়াত জাতীয় পার্টির নেতা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাইসুল হক পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে পারভীন ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমান।
২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে ফরাজিকান্দায় অবস্থিত রাইসুল হক চেয়ারম্যানের বাড়িতে উপস্থিত হন তারা।
এসময় সংঘর্ষের বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আজমেরী। একই সাথে থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করারও অনুরোধ জানানো হয়।
পারভেজের পরিবার জানায়, গুলিবিদ্ধ পারভেজ ও তার স্ত্রী সুমার খোঁজ খবর নেন তারা। পরে পুরো বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ' আমার সামনে এমন কোন কথা হয়নি। এই বিষয়ে তাদের কিছু বলতে শুনিনি। তবে আজকে তারা আমার ভাই ও ভাবীর খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং দুঃখপ্রকাশ করেছেন।'
প্রসঙ্গত গত ১৬ মার্চ দুপুরে বন্দরের ফরাজিকান্দায় ৪৩ শতাংশ জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পিজা শামীমের নেতৃত্বে হোন্ডাবাহিনী প্রবেশ করে সেই জমিতে। জমির চারপাশে গাঁথুনি দেয়ার সময় প্রথমে রাইসুল হকের পরিবারের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে হোন্ডাবাহিনীকে ধাওয়া দেয়। এসময় চারটি দামী মোটরসাইকেলে রেখে পালানোর সময়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও অপর দুটি ভাঙচুর করে। হামলায় নারী সহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে দুজনের পা গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কিছু ফাঁকা গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। একের পর এক গুলিবর্ষনের শব্দে পুরো ফরাজিকান্দা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের সময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া পারভেজের ছোট ভাই তানভীর বাদী হয়ে রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো আজমেরী ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড মাসদাইরের মৃত রোস্তম আলী ডাক্তারের পুত্র আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম (৬০), ঢাকার নবীনগর হাউসিং সোসাইটির বাসিন্দা সেকান্দার মিয়ার পুত্র নূর মোহাম্মদ (৫৫), সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ার মৃত শাহজাদার পুত্র রায়হান জাদা রবি (৪৫), রূপগঞ্জের ভুলতা মিয়াবাড়ী এলাকার মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মামুন (৪৮), বন্দরের চুনাপুরা এলাকার হাবির পুত্র মনির হোসেন মনা(৫২), বন্দর খানবাড়ী এলাকার মৃত জুলমত আলী খানের পুত্র কবির (৫৫), আমির হোসেন (৩৮), উৎসব (৪০), মুকিত (৪৫), মুহিদ (৪০), পাঠান রনি (৪২) সহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন।
আপনার মতামত লিখুন :