নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় একটি জমি দখল করতে গিয়ে শহরময় আবারো মহড়া দিয়েছে হোন্ডাবাহিনী। ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে দুটি প্রাইভেটকার ও ২৫ থেকে ৩০টি মটরসাইকেলে করে একদল যুবক মহড়া দেয়। পরে তারা বন্দরে গিয়ে জমি দখল করতে চাইলে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে। তখন চারটি দামী মোটরসাইকেলে রেখে পালানোর সময়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও অপর দুটি ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে যাদের একজন গুলিবিদ্ধ। এছাড়া একজন নারীকে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছে। সংঘর্ষের সময়ে প্রচুর ফাঁকা গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। একের পর এক গুলিতে এলাকাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১৬ মার্চ দুপুরে সাড়ে ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধ নাসিম ওসমান সেতুর পূর্ব পাশে শীতলক্ষ্যার তীরে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বাজারের পাশে ওই ঘটনা ঘটে।
ফরাজিকান্দা বাজার এলাকাতে রাইসুল হকের ছেলে মনিরুল হক পারভেজ জানান, আমাদের জমিতে এসে সাইনবোর্ড গেঁথে দিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার আমাদের জমি দখল করার জন্য শতাধিক লোকজন এসেছিল। তাদের অনেকেই এসেছিল মটরসাইকেলে করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ফিল্মী স্টাইলে আমাদের উপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আমার পায়ে গুলি লাগে। ওই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল পিজা শামীম। মূলত তিনিই এ দখলের চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
পারভেজ আরো জানান, তাকে বাচাঁতে দৌড়ে আসা পারভেজের স্ত্রী সুমা হককে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে। এ সময় রাইসুল হকের স্ত্রী মাহফুজা হককে মারধর।
এ ঘটনা ঘটিয়ে বের হওয়া সময় এলাকাবাসী ধাওয়ায় পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। এলাকাবাসী ধাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু অতিক্রম করা সময় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। হোন্ডাবাহিনীর চার হোন্ডায় ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। পরে দুইটি হোন্ডায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :