কথিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট নারায়ণগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স-৩’ নির্মাণের জন্য দুইটি বিশাল আম গাছ কেটে ফেলেছে ট্রাস্টের লোকজন। গাছের মধ্যে একটি অর্ধ শতাব্দিরও বেশি প্রাচীন ছিল। অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁরা এ অপকর্ম করেছে।
সংস্কার কাজ চলতে থাকা নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের পুরনো স্টেশন মাস্টারের কলোনীর নগরীর কালিরবাজার অংশের একটি বিশাল অংশ টিন দিয়ে ঘেরাও করা। এর ভেতরে কথিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর শপিং কমপ্লেক্স-৩’র নির্মাণ কাজ চলছে।
স্থানীয় তাজুল ইসলাম জানান, গত শনিবার বিকেলে কথিত এই ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর লোকজন রেলওয়ের জায়গার দুইটি আম গাছ কেটে ফেলে। এর মধ্যে একটি গাছ অর্ধ শতাব্দিরও বেশি পুরনো ছিল। গাছ কেটে সরিয়ে নেয়ার সময় এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে রেলওয়ে পুলিশ এসে হাতেনাতে চারজন শ্রমিককে ধরলেও তাদের গ্রেপ্তার করেনি।
রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্যরা। নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি সিদ্দিক বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক যেকোনো গাছ কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি লাগবে। রেলওয়ের সম্পত্তির গাছ তাঁরা কাটলেও রেল পুলিশ এখানে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রেলওয়ে পুলিশ তাদের এ অপকর্মে সহযোগিতা করেছে বলে আমরা শুনেছি।
তিনি বলেন, রেলওয়ে কর্মচারী ট্রাস্ট বলা হলেও স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের সহায়তায় এই শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা রেলওয়ের এ জমি রেলওয়ের কাজে অথবা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাজে ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ফাঁড়িতে গেলে ইনচার্জ মোখলেসুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। তিনি বিশ্ব এজতেমায় দায়িত্ব পালন করছেন।
ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এ টি এস আই আবু বকর সিদ্দিকি জানান, গাছ কাটা শ্রমিকদের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হলো না কেনো এমন প্রশ্নে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে কোনো মামলা বা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :