নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক বছর পার হলেও আলোচনা সমালোচনায় পরিপূর্ণ ছিলেন নাসিকের ১০টি ওয়ার্ডের কিছুসংখ্যক কাউন্সিলর। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে জয় লাভ করেন তাঁরা। তবে বছর জুড়েই রয়েছে তাদের নানান আলোচিত-সমালোচিত কর্মকান্ড।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় রয়েছে ২৭টি ওয়ার্ড। যার মধ্যে প্রথম ১০টি ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জে। এখানকার কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার শিরোনাম হয়েছে কিছুসংখ্যক কাউন্সিলর। কখনো ভালো কাজে আবার কখনো বা অন্যায় অত্যাচারের।
আলোচিত সমালোচিত কাউন্সিলররা হলেন
নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম টানা তৃতীয়বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। নতুন বছরের শুরুর মাসে জয়ী হন তিনি। শপথ নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন আনোয়ার ইসলাম। তার ছোট ছেলের বিরুদ্ধে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অভিযোগ উঠে এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ আছে, ক্ষমতা পাওয়ার কিছুদিন পর রমজান মাসের শুরু থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশস্থ শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখলকারী ৫০০ হকারদের থেকে চাঁদা আদায়ের। পাশাপাশি গত বছরের আগস্টের ২৪ তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদকে অফিসে ঢাকা নিয়ে কাউন্সিলরের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটান সন্ত্রাসীরা। এতে আলোচনায় আসেন আনোয়ার ইসলাম।
৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল টানা তৃতীয় বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় তার একত্ব আধিপত্য রয়েছে এলাকায়। দেশের আলোচিত ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা তিনি। গত ২২ ডিসেম্বর নগরভবনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্যানেল মেয়র-২ নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন বাদল।
৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি টানা দ্বিতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারের এক বছরে তার যেমন আলোচনা তেমনি সমালোচনারও শেষ নেই। কাউন্সিলর মতিকে বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় স্থানীয় পত্রিকাগুলোর শিরোনাম হতে। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর প্রায় ২৩ কোটির অবৈধ সম্পদের হিসাব না দিতে পাড়ায় তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দেওয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন মতি।
নাসিকের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা টানা তৃতীয় বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বছরজুড়ে তার আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমী দখলের চেষ্টার অভিযোগে (২০ সেপ্টেম্বর ২০২২) কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লাকে প্রধান করে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা (নং ৩০৫/২২) দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :