নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের রাজনৈতিক অধ্যায়টা ছিল পিচ্ছিল ও সংগ্রামে বেড়ে উঠা। ২৭ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন।
জানা যায়, জিএম আরাফাত ১৯৯১ সালে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে সেøাগানে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই তার রাজনীতি শুরু। আওয়ামী পরিবারের সন্তান প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আলম চান মুন্সীর ছেলে। ১৯৯২ সালে দেওভোগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হন। এসএসসিতে প্রথম বিভাগে পাশ করার পর কবি নজরুল ইসলাম কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন। ওই সময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত সাইদুল হাসান বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম (বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক)। তাদের সাথে পুরোদমে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান তিনি। যদিও ওই সময় শহর ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেয়ার প্রক্রিয়া চললেও পরবর্তীতে বিএনপির আমলে নানা হামলা মামলা নির্যাতনের কারনে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কারণ ১৯৯৪ সালে ৪টি রাজনৈতিক মামলায় আসামী হন জিএম আরাফাত। অনেকটা আত্মগোপনে থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করেন।
১৯৯৫ সালে গ্রেফতার হলে সাড়ে তিন মাস কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সুনজরে চলে আসেন জিএম আরাফাত। চারদলীয় জোট সরকার আমলে ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায় বঙ্গবন্ধ এভিনিউতে। সেই সম্মেলনে এহসানুল হাসান নিপুকে সভাপতি ও জিএম আরাফাত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ও আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা সহ জেলার প্রত্যেকটি থানা এলাকার কমিটিগুলো গঠনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে। যে কারনে তার ফলস্বরুপ সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিএম আরাফাতকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। ওই সময় ৬৪ জেলার মধ্যে একমাত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই কেন্দ্রীয়য় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ট হন তিনি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিউনিউতে গ্রেনেড হামলার পরে নারায়ণগঞ্জ শহরে যে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় তার নেতৃত্বে ছিলেন আরাফাত। ওই সময়ে বিএনপির যুবদল নেতা ইতোমধ্যে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত মমিনউল্লাহ ডেভিড বাদী হয়ে মামলা করেন যেখানে আরাফাতকে প্রধান আসামী করা হয়।
ওয়ান এলিভেনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মিছিল বের করে জিএম আরাফাত। সেই মিছিলের ঘটনায় জিএম আরাফাতকে জরুরী আইনের বিধিতে মামলায় প্রধান আসামী করা হয়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
আপনার মতামত লিখুন :