নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ৬৬ বছর পেরিয়ে ৬৭ বছরে পা রেখেছেন। আর এই সময়ে তাকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এখনও তিনি নিজেকে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় রেখেছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে তার পথচলা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিম দেওভোগ এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত সফর আলী। সেই ছোটবেলা থেকেই তৎকালীন সময়ে শেখ মুজিবের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় তৎকালীন সময়ের শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলে নেয়া হয়ে ছিল। আর সে সময়ে জাহাঙ্গীর আলম তার সিনিয়র ছাত্রদের সাথে ‘জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো’ স্লোগানে মিছিলে অংশগ্রহণ করে ছিলেন।
এরপর যখন শেখ মুজিবুর রহমান কারামুক্তি লাভ করেন তখন ‘জেলের তালা ভেঙ্গেছি শেখ মুজিবকে এনেছি’ স্লোগানে মিছিলে অংশগ্রহণ করে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর থেকেই তিনি ধীরে ধীরে শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলার চেষ্টা করেন। সেই সাথে ১৯৭৪ সালে সরকারি তোলারাম কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন।
জাহাঙ্গীর আলমের সাহসিকতা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আলী আহমেদ চুনকা তৎকালীন সময়ের জিএস ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে বলেন তাকে ছাত্রলীগে নেয়ার জন্য।
সেই সাথে প্রয়াত আলী আহমেদ চুনকার সান্নিধ্য থেকে জাহাঙ্গীর ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে যান। বিএনপি সরকারের সময়ে ১৯৮১ সালে তোলারাম কলেজের জিএস নির্বাচিত হন তিনি। পাশাপাশি শহর ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে তুলেন। এরপর নারায়ণগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি হন। একই সাথে পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু হয়। মানসিক শারীরিকভাবে নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হন। কয়েকবার কারাবরণ করেন। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীদের দায়ের করা মামলায়ও তাকে কারাগার বরণ করতে হয়। সর্বশেষ তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি সত্য বলতে কখনও পিছু হটেন না। যখন সত্য বলার প্রয়োজন হয় তখন নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও তিনি ছাড় দেন না। তার রাজনীতি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এবং মৃত্যু পর্যন্ত এই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই তিনি থাকবেন।
জাহাঙ্গীর আলমের এই জন্মদিনে তার রাজনৈতিক বন্ধু, শুভাকাক্সক্ষী সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে তার ভবিষ্যত জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :