নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আমির হোসেনকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ফতুল্লার উত্তর হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন বন্দরের ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা আকতার হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ভিকটিম (১৩) একজন গার্মেন্টস কর্মী। গত ১০ এপ্রিল রাতে গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে ফতুল্লার কাইয়ুমপুরস্থ রহমান গার্মেন্টসের রাস্তায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত আসামী তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ভিকটিমকে পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে এবং হাত-পা বেঁধে পার্শ্ববর্তী পিটালিপুল রহমান ডাইংয়ের পূর্ব পাশে আসামীর ভাড়া করা মেছে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেনসহ তার সঙ্গীয় সহযোগী আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন ও সঙ্গীয় এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা ভিকটিমকে উক্ত ঘটনার কথা প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
উক্ত গণধর্ষণের পর হতে গ্রেফতারকৃত গণধর্ষণকারী চক্রের মূলহোতা আসামী আমির হোসেনসহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা কৌশলে আত্মগোপনে থাকে। আদালত ২৩ মে গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেনসহ সঙ্গীয় অন্যান্য আসামীদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামী আমির হোসেনের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই মামলার অন্যান্য পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আপনার মতামত লিখুন :