ঘড়ির কাটায় সময় দুপুর পৌনে ১টা। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গেইটে রিকশার জট। ভেতরে ঢোকা যাচ্ছিল না। এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্সও আসে। তড়িঘড়ি রিকশা ও অটোচালকরা নিজেরাই অ্যাম্বুলেন্সটি ভেতরে ঢুকতে রাস্তা ছেড়ে দিলেন। তবুও সমস্যা। কারণ গেইটের ভিতরেও অটোর জট। কারণ সামনে ছিল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটরসাইকেলের বহর। ভরদুপুরে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের প্রবেশ পথের জঞ্জাল অন্যতম কারণ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ অর্থাৎ বিক্রয়কর্মীদের মোটরসাইকেলের বহর। হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের মোটরসাইকেল রাখার ঘটনাটি দেখে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) অনেক রোগী বিরক্তি প্রকাশ করেন।
নিতাইগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম ছেলেকে নিয়ে এসেছেন ডেঙ্গু টেস্ট করাবেন। তার রিকশাও গেইটে জ্যামে পড়েছিল। তিনি বললেন, আমি ছেলের ডেঙ্গু টেস্ট করাতে আসছি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা খুব জ্বালাতন করছে। আমার টিকিট কেড়ে নিয়ে বলছে দেখি কি ওষুধ লিখছে। আমার খুব রাগ উঠেছিল লোকটির উপর। শিক্ষিত মানুষ বলে কিছু বলিনি। এখানে বিক্রয় প্রতিনিধি পায়ে পায়ে হোঁচট খায়। রোগী দেখলেই ওরা ছুটে আসে। রোগীদের টিকিট ও প্রেসক্রিপশন চেক করে।
নগরীর বাবুরাইলের মিনহাজ, নয়াপাড়া বেগম খাতুন, বউবাজারের সুলতান ও দেওভোগ আখড়া এলাকার লক্ষ্মীরানী ও সবিতা রাণী জানালেন, ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের যন্ত্রণার শেষ নাই। ওরা পুরো হাসপাতাল দখল করে রাখে। দেখেন না হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজের সামনে মোটরসাইকেল রেখে দিয়েছে সারিবদ্ধভাবে। এ জন্য হাসপাতাল চত্বরে কোন অটোরিকশা ঢুকলে ঘোরাতে কষ্ট হয়। খোলামেলা হাসপাতাল চত্বর জ্যাম হয়ে যায়। এতে করে রোগীদের কষ্ট হয়, সে সাথে সমান কষ্ট হয় রোগীদের সাথে আসা আত্মীয়-স্বজনদের।
ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানদাররা জানান, বেশি উৎপাত হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের গেইটের বাইরে মূল রাস্তায়। মূল রাস্তা বঙ্গবন্ধু সড়কে। সকাল ৮/৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্বপাশে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখে। এ কারণে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এ বিষয় দেখার কেউ নাই। হাসপাতালের সামনে প্রতিদিনই এই উদ্ভট দৃশ্য চোখে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :