News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

ভিক্টোরিয়ায় আবারো ফিরেছে দালালচক্র


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ১১:০৯ পিএম ভিক্টোরিয়ায় আবারো ফিরেছে দালালচক্র

নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে কোনোভাবেই তাড়ানো যাচ্ছে না নামসর্বস্ব বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের। নারী ও পুরুষ মিলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দালাল সিন্ডিকেট এই হাসপাতালের জরুরী বিভাগকে নিজেদের ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছে। হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, জরুরী বিভাগের ডাক্তারদের আশ্রয় ও সিভিল সার্জনের উদাসীনতায় দালালদের এখান থেকে উৎখাত করা যাচ্ছে না।

গত মাসে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দুই সাংবাদিককে মারধর করে দালালরা। এ ঘটনায় পুলিশ জাহিদ নামে এক দালালকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন ১০০ শয্যা হাসপাতালে দালালদের কোনো অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এখন আবার নতুন করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে দালালদের আনাগোনো বৃদ্ধি পেয়েছে। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে হাসপতালে ফিরে দালালিতে সক্রিয় হয়েছে জাহিদ।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকলে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর চেয়ে দালালের সংখ্যা এখানে বেশি। হাসপাতালের স্টাফরা জানান, এরা সারাদিন অপেক্ষা করে সরকারি এই হাসপাতাল থেকে রোগীদের শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। বিনিময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে টাকা পেয়ে থাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স এ বিষয়ে বলেন, দালাল আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে। মাঝখানে কমেছিল। এখন আবার তাঁরা আসা যাওয়া বাড়িয়েছে। এই হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যেসব ডাক্তার বসেন, তাদের সাথে ৩ থেকে ৪ জন দালাল থাকে। ধরেন একজন রোগী আসলো অসুখ নিয়ে। ডাক্তার তাকে দেখে এক্সরে করানোর জন্য দালালদের সাথে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেবে। এতে ডাক্তার আর দালাল দুইজনই কমিশন পাবে।

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সাথে এক মুদি দোকানের মালিক আনসার মিয়া। তিনি বলেন, ‘দালালরা এই হাসপাতালের জামাই। এরা জেলে যাইবো, আবার আসবো, এটাইতো স্বাভাবিক ব্যাপার। হাসপাতালের বড় বড় ডাক্তাররা সবাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালগো জামাই আদর করে। বিশ^াস না হইলে, চেম্বারে গিয়া দেখেন। আমি মনে করি অশিক্ষিত দালালদের চেয়ে শিক্ষিত ডাক্তাররা বেশি বদ। এগুলো যে কেমনে ডাক্তার হইসে আল্লাহই ভালো জানে।’

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে মোহাম্মদ রাজন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। তাই গত একমাসে বেশ কয়েকবার এখানে ডাক্তার দেখাতে আসছি আমরা। কিন্তু কি বলবো ভাই। খুবই বাজে অবস্থা এখানে। দালালরা আমাকে এরই মধ্যে ৫ বার ধরেছে। বলছে আমার স্ত্রীকে মেডিহোপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা করাতে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, সরাকারি হাসপাতালে এসে কিভাবে দালালরা রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে বলে! এটা শুধু আমাদের দেশ দেখেই হচ্ছে। পৃথীবির আর কোথাও এমন চিত্র দেখা যায় না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জে সিভিল সার্জন ডাক্তার মুশিউর রহমান বলেন, হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক তৎপর আছি। আপনারা সাংবাদিকরা যদি এ বিষয়ে আমাকে হেল্প করেন তাহলে আমার জন্য কাজ করতে আরও ভালো হবে। শুনেছি ডাক্তারাও গোপনে তাদের হেল্প করে। তাই আমি তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুতই হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল হবে।

Islams Group
Islam's Group