News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

চাষাঢ়া মর্ডাণ ডায়াগনস্টিকে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তুলকালাম


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ১২:২৫ এএম চাষাঢ়া মর্ডাণ ডায়াগনস্টিকে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তুলকালাম

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এক মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার আত্মীয় স্বজনেরা এসে ব্যাপক হৈ চৈ করে যাদের একটি বড় অংশ নিজেদেরকে সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের একমাত্র ছেলে আজমেরী ওসমানের ‘অনুগামী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, তারা সেখানে যাননি। হয়তো কেউ গিয়ে নাম বিক্রি করতে পারে।

ওই সময়ে অপর প্রান্ত থেকে জনৈক ‘হাজী সাহেব’ পরিচয় দিয়ে ওই সেন্টারের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং মিমাংসা না হওয়া অবধি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ঘটনার প্রায় ১ঘণ্টা পর পুলিশ সেখানে গেলে জমায়েত হওয়া বাহিনীর লোকজন চলে যায়।

১৫ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৯টায় শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠে মর্ডাণ ডায়াগনিস্টক সেন্টারের নতুন ভবনে ওই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর বয়স ১১ বছর। তাঁর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগচর এলাকাতে। সে একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত। তার বাবা গার্মেন্ট কর্মী অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলের চর্ম রোগের সমস্যা ছিল। তাই গত সপ্তাহে ছেলেকে নিয়ে এসে এই হাসপাতালের ডাক্তার তানভীর আহম্মেদ সুমনকে দেখাই। তিনি আজকে আইসা বাচ্চার রক্ত ও আরো কিছু পরীক্ষা করতে বলেছিলো। তার কথা অনুযায়ী আমার বাচ্চাকে নিয়ে আসি রক্ত পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বাচ্চা রক্তের স্যাম্পল টেস্ট দিয়ে বের হয়ে আমাদের কাছে, ভিতরে যা হয়েছে সেই বিষয়ে বলেন।

” শিশুটির মা বলেন, “আমার ছেলেকে যখন টেষ্টের জন্য রুমের ভেতরে নিছে, তখন আমরা কেউ সাথে যাই নাই। এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। আমরা এর বিচার চাই।”

মর্ডানের নমুনা সংগ্রহকারক নাজমুল হোসেন ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবী শিশুর বাবা ও মায়ের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী শিশুটির মামা নিজেকে নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের কাছের লোক পরিচয় দেয়। খবর পেয়ে শতাধিক লোকজন মর্ডানে জড়ো হয়। ওই সময়ে মামার মোবাইলে ফোন আসলে তিনি প্রচার করেন এটা হাজী সাহেবের ফোন। হাজী সাহেব একে একে শিশুর মামা, অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক স্টাফের সাথে কথা বলেন।

এ সময় তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন।

একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি রুপুসহ তার সাথে আরো ১৫ থেকে ২০জন কিশোর এসে উপস্থিত হন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তবে তারা এ নিয়ে কোন কথা বলেননি।

মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার টিটু বলেন, “আসলে আমরা তো জানতাম না যে, নাজমুল এতো খারাপ লোক। ওকে ভালো জেনেই চাকরি দিয়েছিলাম। কিন্তু ওর জন্য আজকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বদনাম হলো। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার ওকে যে শাস্তি দিতে চাইবে, তাই হবে। এখানে আমাদের কোনো কথা নেই। আমরাও ওর বিচাঁর চাই।” 

ঘটনার পরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এস আই সফিক মর্ডান ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান। তিনি বলেন, “আমি খবর পেয়ে একেবারে শেষের দিকে গিয়েছি। কিন্তু তখন কেউ ছিলনা। তবে শুনেছি ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বোঝাপড়া হয়েছে।”

Islams Group
Islam's Group