জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা মহিউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ১৩ সেপ্টেম্বর। সংগঠক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু খাজা মহিউদ্দিনের কথা বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছেন।
ছোট ভাই নূর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘তিনি আমাদের জাতির কৃতি সন্তান, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ঘনিষ্ঠ সহচর এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আন্দোলনের অগ্রপুরুষ খাজা মহিউদ্দিন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে আমার বড় ভাই খাজা মহিউদ্দিনের নামে তিন থেকে চার জায়গায় তিনি মন্তব্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘খাজা মহিউদ্দিন একটি সংগ্রামী ছেলে। তার মধ্যে আমি যা দেখেছি ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশের বড় কিছু একটা হবে’ তিনি এভাবে মন্তব্য করেছেন এবং আমার এ ভাই ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে থেকে ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জেলে যখন খুব মশা কামড়াতো তখন বঙ্গবন্ধুকে একটি মশারিও জোগাড় করে দিয়েছেন। সেই কথাও বঙ্গবন্ধু তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বড় ভাই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা জেলার সভাপতি হিসেবে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। তার থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন আজকের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘তিনি (মুক্তিযোদ্ধা খাজা মহিউদ্দিন) একজন সাধারণ ও সংগ্রামী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে দেখে মন্তব্য করেছিলেন এ ছেলে বড় নেতা হবে। খাজা ভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি তার কাছ থেকেই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ছিলাম ঢাকা ছাত্রলীগের।’
আপনার মতামত লিখুন :