News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ডিম-মুরগীর দাম


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ১১:০৮ পিএম নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে ডিম-মুরগীর দাম

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম এখন সাধারণ মানুষের কাছে নিত্যসঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। জিনিসপত্রের দামে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। তবে গত কয়েকদিন ধরেই আবারও বেড়েছে মুরগী-ডিমের দাম। তবে কমেছে আলুর দাম। কাঁচামরিচের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকলেও গত কিছুদিন ধরে এর দামও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ক্রেতাদের দাবি, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই এসব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়। গত কয়েকদিন ধরে শাকসবজির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দীগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মুরগীর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নানা জাতের মুরগীর দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৯০ টাকা, কক মুরগী ৩২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৬০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৫৫ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ৩১০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা, কক মুরগী ৩০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৪০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৫০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ২৮৫ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এদিকে বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম ৬০ টাকা দরে এবং ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা এবং ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

শাকসবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ শাকসবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে বেড়েছে আলুর দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৪০-৪২ টাকা, লতি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৬০-৭০ টাকা, শিম ৫৫-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, উস্তা ১০০-১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১৫০-১৬০ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৬০ টাকা, খিরাই ৪৫-৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, শালগম ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০-৯০ টাকা, শিম ৫৫-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, উস্তা ১০০-১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, রসুন ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৬০ টাকা, খিরাই ৪৫-৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, শালগম ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শুঁটকির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শুঁটকির দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৬৯০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৪৬০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৩০-৪৮০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৫২০-৫৫০ টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার ১০০-১ হাজার ৮০০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৭৫০-১ হাজার ১০০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৪৯০-৫৮০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৭২০-৭৫০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১৩০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৬৮০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৫০-৪৫০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৫৫০-৬০০ টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার-১ হাজার ৬৫০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৬০০-১ হাজার ৫০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৪৫০-৫৫০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৭০০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাতভেদে অধিকাংশ চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৫০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৫০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ৯০ টাকা, খেসারী ডাল ৭৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ৮৫-৯০ টাকা, চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৮০ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯৪০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪১০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪২০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮০০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৪০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৫০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, খেসারী ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৭৪ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮২০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮৮০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০-১২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৭০০-১১০০ টাকা, পোয়া ৪৬০-৫০০ টাকা, রিডা মাছ ৫৭০ টাকা, শোল মাছ ৭৯০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪৩০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০-২৫০ টাকা, রুই মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, বাইম মাছ ৫৬০-৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ইলিশ ৪৫০-১২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫৫০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৬০০-১১০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, রিডা মাছ ৫৪০ টাকা, শোল মাছ ৭৫০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২৯০-৩০০ টাকা, বাইর মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

Islams Group
Islam's Group