News Narayanganj
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে শাকসবজি, মুরগী-ডিমের দাম


দ্যা নিউজ নারায়ণগঞ্জ ডটকম | স্টাফ রিপোর্টার : প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ১০:৩১ পিএম নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে শাকসবজি, মুরগী-ডিমের দাম

গত কয়েক মাস ধরে দেশের সব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। সারাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারায়ণগঞ্জেও বেড়েছে শাকসবজি থেকে শুরু করে মুরগী-ডিমের দাম। বাজারে মাছ, শাকসবজি, মুরগীর সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবু অজ্ঞাত কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে বলে জানা যায়। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন মধ্যবিত্তরা। অনেককেই এখন ধারদেনা করে পরিবারের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কবে নাগাদ কমবে তা বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বিপরীতে, আগামীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ার শঙ্কা করছেন তাঁরা।

দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দীগুবাবুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

মুরগীর বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নানা জাতের মুরগীর দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ২৪৫ টাকা, কক মুরগী ৩৬০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৩০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৯৫ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ৪২০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী ২২০ টাকা, কক মুরগী ৩৫০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগী ৩৪০ টাকা, লেয়ার সাদা মুরগী ২৮৫ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মুরগী ৪১০ টাকা, প্যারেন্ট খাসি মোরগ ৪৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিভিন্ন জাতের মুরগী বিক্রি হয়েছিল। বিভিন্ন জাতের প্রতি পিস হাঁস বর্তমানে ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এদিকে বেড়েছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম ৪৬ টাকা দরে এবং ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ৪৪ টাকা দরে এবং ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

শাক সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ শাকসবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ১৮-২২ টাকা, লতি ৫০-৫২ টাকা, ধনেপাতা ৪৫-৫০ টাকা, শিম ৫৪-৬০ টাকা, মুলা ২২-২৫ টাকা, টমেটো ৪২-৪৮ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢ়েড়শ ১০০-১১৫ টাকা, পটল ৮০-৮৫ টাকা, কাঁচা পেপে ৮০-৯০ টাকা, উস্তা ১০০-১১০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, চায়না আদা ১৭০ টাকা, দেশি আদা ১১০-১২০ টাকা, রসুন ১১০-১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, মরিচ ৪৬০ টাকা, মটরশুটি ৯০-১০০ টাকা, খিরাই ৪৫-৫০ টাকা, শশা ৭৫-৮০ টাকা, শালগম ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০া এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ১৯-২২ টাকা, লতি ৪৫-৫০ টাকা, ধনেপাতা ৪০ টাকা, শিম ৪৮-৫০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পটল ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচা পেপে ৬০-৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ৩৮ টাকা, চায়না আদা ১৭০ টাকা, দেশি আদা ১২০-১৬০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা, মরিচ ৪৭০ টাকা, গাঁজর ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, মটরশুটি ১৩০ টাকা, খিরাই ৩৫ টাকা, শশা ৬০ টাকা, শালগম ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৬০-১০০ টাকা, লাউ ৪৫-৬০ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা এবং প্রতি হালি এলাচি লেবু ও গোল লেবু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি আঁটি লালশাক ২০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪৫ টাকা, বৈত্তা শাক ৪৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শুঁটকির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শুঁটকির দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৬৯০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৪৬০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৩০-৪৮০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৫২০-৫৫০ টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার ১০০-১ হাজার ৮০০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৭৫০-১ হাজার ১০০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৪৯০-৫৮০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৭২০-৭৫০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১৩০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি লইটা শুঁটকি ৬৮০ টাকা, কাঁচকি শুঁটকি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ২৫০-৪৫০ টাকা, চাঁন্দা শুঁটকি ৫৫০-৬০০ টাকা, গইন্না শুঁটকি ১ হাজার-১ হাজার ৬৫০ টাকা, ফওয়া শুঁটকি ৬০০-১ হাজার ৫০ টাকা, রিডা শুঁটকি ৪৫০-৫৫০ টাকা, বলাই শুঁটকি ৭০০ টাকা ও প্রতি পিস ইলিশ শুঁটকি ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাতভেদে অধিকাংশ চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৪০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৬০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০৫ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ১০৫ টাকা, খেসারী ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ৮৫-৯০ টাকা,চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৭৪ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮২০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮৮০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০-৭২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৯ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৮০ টাকা, লতা চাল ৫৪ টাকা, পোলাও চাল ১৪০ টাকা, ইরি চাল ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া প্রতি কেজি ১নং মসুরী ডাল ১৫০ টাকা, ২নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, ৩নং মসুরী ডাল ১০০ টাকা, খেসারী ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, চনা বুট ৯০ টাকা, ডাবলী ৭০ টাকা, ভাজা মুগ ডাল  ১৮০ টাকা, কাঁচা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ টাকা, বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ২ লিটার সয়াবিন তেল ৩৭৪ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা, ৮ লিটার ১৪৮০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডিপ্লোমা দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮২০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ ৪৪০ টাকা, ১ কেজি ডানো দুধ ৮৮০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম মার্কস দুধ ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খোলাটা ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদের গুড়া ২৪০ টাকা, মরিচের গুড়া ৪০০ টাকা, ধনেগুড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।  

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাছের দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০-১২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৭০০-১১০০ টাকা, পোয়া ৪৬০-৫০০ টাকা, রিডা মাছ ৫৭০ টাকা, শোল মাছ ৭৯০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪৩০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৬০-২২০ টাকা, রুই মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, বাইম মাছ ৫৬০-৬৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ইলিশ ৪৫০-১২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫৫০-১৮০০ টাকা, আইর মাছ ৬০০-১১০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, রিডা মাছ ৫৪০ টাকা, শোল মাছ ৭৫০-৮৫০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ টাকা, বাইল্লা মাছ ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২৯০-৩০০ টাকা, বাইর মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।  

বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, যেভাবে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের তা বহন করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের উচিত জিনিসপত্রের দামের দিকে নজর দেওয়া।

আজিজুল হাকিম নামের আরেক ক্রেতা জানান, কোনো জিনিসপত্রের দাম বাড়লে তা সহজে কমে না। মুরগীর দাম আবারও বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়ে কিনা কি জানি।

দিগুবাবুর বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. রুহুল আমীন জানান, বাজারে শাকসবজির সরবরাহও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে গত কয়েকসপ্তাহ ধরে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বেশি রয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে ক্রেতার চাপ আরও বাড়বে। দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদেরই অতিরিক্ত দামে সব জিনিসপত্র ক্রয় করতে হয়।

Islams Group
Islam's Group