নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, খুব কম মানুষ আছে যারা চলে গেলে চোখের পানি আসে। ওই রকম মানুষ দুনিয়াতে এখন সহজে পাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের পরিবারের বাবা-মা ভাই ও সন্তানদের হারিয়ে আজ ৪৮ বছর চলছে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে। তাদের মত নারীদের কারণে আজ সন্তানদের পরিচয়পত্রে (আইডি কার্ডে) বাবার নামের পাশে মায়ের নাম রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেৃতত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই কন্যা এখন দেশকে বিশে^র উন্নত দেশ হিসেবে রূপান্তর করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মিশন শেষে প্রধানমন্ত্রী এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিক ছুটছেন। উন্নত দেশের মত বাংলাদেশেও বৃহত্তর পদ্মা সেতু ও মেট্টোরেল চালু করেছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিদায়ী সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগমের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মত আপনারাও প্রচুর পরিশ্রম করে শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা দিচ্ছেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত উদার হয়ে কাজ করবেন। নাজমা বেগম এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন, এই স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে আজ বিদায়ও নিচ্ছেন। সময় কারো জন্য বসে থাকেন না, এখানে তার ছোট বোনও স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। এখন বাংলাদেশ টিভি’র গুণী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। নাজমা বেগমের স্বামী একজন ডাক্তার, তাঁরা স্বামী-স্ত্রীই সেবামূলক কাজ করেছেন। আমি বলবো, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী অবশ্যই স্বার্থক ও সফল। সবাই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো, কিন্তু সমাজসেবা কাজে প্রশংসিত হয়ে থাকবে সারা জীবন। মর্গ্যান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী হয়ে ছিলাম ১৯৮৯ সালে।
মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য এস এম আহসান হাবিব, মর্গ্যান গার্লস অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য জানে আলম জানু, হুমায়ূন কবির, ফাহিমা আক্তা বৃষ্টি, শিক্ষক প্রতিনিধি বিনোদ কুমার সাহা, শাহানুর আলম, হাজেরা আক্তার জোৎসনা, মর্গ্যান গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক লায়লা আক্তার ও বেগম নাজমা বেগমের স্বামী ডা. খোরশেদ আলম।
আপনার মতামত লিখুন :